সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেছেন, কচুয়া বার্তা পত্রিকাটি গত ১৩ বছরে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সমাজের মানুষকে রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার জন্যে সচেতন করে তুলতে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সাপ্তাহিক কচুয়া বার্তা। পত্রিকাটি প্রকাশে সম্পাদক যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে আসছে। আমি আশা করি পত্রিকাটি সাংবাদিকতার মহান পেশাকে অক্ষুণœ রেখে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিক, পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা ও সুনাম-সুখ্যাতি সৃষ্টি করতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিকল্প নেই। তাই পত্রিকার সম্পাদকসহ সকল কলাকুশলীর প্রতি আহ্বান, সঠিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করবেন। আমি কচুয়া বার্তার অগ্রযাত্রা কামনা করছি।

গতকাল বুধবার সাপ্তাহিক কচুয়া বার্তার ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

পত্রিকার প্রধান পৃৃষ্ঠপোষক শাহজাহান তালুকদারের সভাপ্রধানে ও সম্পাদক আলমগীর তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতাকামী মানুষের আত্মত্যাগের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যাঁরা দেশের জন্যে আত্মত্যাগ করেছেন তাদেরেকে যুগ যুগ ধরে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। যারা বাংলাদেশের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না করে বিদেশিদের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে লিপ্ত তারা এ দেশে থাকার অধিকার রাখে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্যাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাবের মিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার একেএম আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবুল হোসেন, শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক শহীদ উল্লাহ পাটওয়ারী ও মোতাহের হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক, ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, কচুয়া বার্তার বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন।

উল্লেখ্য, সংবর্ধিত গুণীজনদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজসেবক। সংবর্ধনা ও আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেকে কাটেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন শিকদার, সনতোষ চন্দ্র সেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার হোসেন সোহেল ভূঁইয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।