প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২২, ০০:০০
নিজের রান্নাঘরে আগুনে পুড়ে মরলো প্রতিবন্ধী মেরিনা কাজী নামের এক ষোড়শী। তিন বোনের মধ্যে বড় দুইবোন প্রতিবন্ধী আর মেরিনা সবার বড়। সে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত ইউসুফ কাজীর মেয়ে। সোমবার চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় মেরিনা। রাতেই মেয়েটিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাজী বাড়ির হাবিব কাজী চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, সকালবেলা মেরিনাদের রান্নাঘরে আগুন লেগেছে দেখে আমরা আগুন নেভাতে শুরু করি। ঘরের আগুন অর্ধেক নেভানোর পর দেখি ঘরের ভেতরে মেরিনার গায়ে আগুন জ্বলছে। তারপর সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে ঢাকা যাওয়ার পথে মারা যায় সে।
হাবিব কাজী আরো জানান, পরে শুনলাম মেয়েটি একা একা রুটি বানাতে গিয়েছিলো। তখন তার গায়ে আগুন ধরে।
আগুনে পুড়ে মেরিনা কাজীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল আলম অরুন বলেন, তিন বোনের মধ্যে মেরিনাসহ অপর আরেক বোন প্রতিবন্ধী। আমরা দুই বোনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েছি। তাদের বাবা মারা গেছে অনেক আগে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জুবায়ের সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে ওই বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছে।