প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
কথা রেখেছে প্রশাসন
হাজীগঞ্জে স্মরণকালের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
হাজীগঞ্জে স্মরণকালের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো ধরনের কেন্দ্র দখল, মারামারি কিংবা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ছাড়াই গতকাল ২৬ ডিসেম্বর রোববারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এবারের শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ভোটারদেরকে আশ^স্ত করা হয়েছিলো। যার বাস্তবতা ভোটাররা নির্বাচনে দেখেছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন যে কথা প্রার্থীসহ ভোটারদেরকে দিয়েছে সেই কথা কাজে প্রমাণ করে দিয়েছে বলে ভোটাররা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। হাজীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে রাজারগাঁও ইউনিয়নে এবারেই প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
ভোরবেলা থেকে প্রতি কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছানো হয়। এর আগেরদিন শনিবার বিকেলে স্ব-স্ব কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, আনসারসহ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ পৌঁছে যান। ব্যালট পেপার পাওয়ার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে প্রার্থীদের এজেন্ট দেয়া হয়। এর পরে ঘড়ির কাঁটায় ৮টা বাজার সাথে সাথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্র দখল নিয়ে কিছু এলাকায় গুজবের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ভোট চলাকালে কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে রাজারগাঁও ইউনিয়নে ইভিএম এবং অন্য সব ইউনিয়নে ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই ১০৯টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৩টি ভোট কক্ষে (বুথ) ২ লাখ ২ হাজার ৩৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪ হাজার ৬০৮ জন ও নারী ভোটার ৯৭ হাজার ৭৯১ জন।
রাজারগাঁও ইউনিয়নে ইভিএম-এর মাধ্যমে ৯টি কেন্দ্রে ৬০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিয়নে ভোটার হলেন ১৯ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৯৩ জন ও মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৪২৩ জন।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব) সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সারাক্ষণ ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব দালন করতে দেখা গেছে। এছাড়াও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন ৪ জন রিটার্নিং অফিসার, ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬২৩ জন সহ-প্রিজাইডিং অফিসার ও ১২৪৬ জন পোলিং অফিসার।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সাধারণ সদস্য ৪০৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ২ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ ৫ জন ইতিমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের কাজ শেষ করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, আমরা যখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই তখন ভোটারদের চোখে-মুখে তাকিয়ে বুঝা গেছে তারা স্বস্তিতে ভোট দিতে পারছে।