মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৩

আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৮০ ভাগই শিশু

আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৮০ ভাগই শিশু
অনলাইন ডেস্ক

মতলব দক্ষিণে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গেল ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার রোগী। এর মধ্যে ৮০ ভাগই শিশু। ঠাণ্ডাজনিত কারণে বাড়ছে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ।

হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আল ফজল খান বলছেন, দেশের চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও শরীয়তপুরের প্রায় ৫৮টি উপজেলা থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন রোগীরা। ২০ ভাগ রোগীই কয়েকঘণ্টা চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শ' থেকে তিন শ' রোগী ভর্তি হয়। তাদেরকে স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধপত্র বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এখানে ৮০ ভাগ রোগীই শিশু। ভর্তির এ সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তিনগুণ বেশি।

ডা. আল ফজল খান রোগী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাই একসাথে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে না গিয়ে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে।

আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতাল সূত্র জানায়, গেল ১৫ দিনে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ১২৫জন। ভর্তি হওয়া শিশুদের বাড়ি চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং আশপাশের জেলায়।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার প্রতিটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীতে ভরপুর। হাসপাতালের বারান্দায়ও অনেক রোগী। রোগীদের অধিকাংশই শিশু। চিকিৎসকেরা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও চিকিৎসা-সরঞ্জাম রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং শিশুদের প্রতি যত্নবান থাকলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব।

লক্ষ্মীপুর উপজেলার জসিম জানান, তার সন্তান আয়শা জ্বর ও বমিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসক খাবার স্যালাইন, সুজি ও বেবি জিংক খেতে দিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে চাঁদপুর সদরের ২৬৬ জন, কচুয়ার ২৮৭ জন, মতলব উত্তরের ১৪৫ জন, মতলব দক্ষিণের ১১০জন, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪০জন, হাজীগঞ্জের ১৬৫ জন, কুমিল্লার বরুড়ার ১৯৩ জন, ব্রাহ্মণপাড়ার ৮৫ জন, বুড়িচংয়ের ১৬৪ জন, চান্দিনার ২৫৮ জন, কুমিল্লা সদরের ১৫৬ জন, কুমিল্লা সদরের (দক্ষিণ) ১২৪ জন, লক্ষ্মীপুর সদরের ১৩২ জন ও রামগঞ্জের ৯৭ জন। বাকিরা এসেছে লক্ষ্মীপুর, সিলেট, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে।

চিকিৎসক আল ফজল খান আরও বলেন, শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ ও নিয়ম করে পরিমিত খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের অধিক বয়সী শিশুদের খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক ট্যাবলেট এক চামচ পানিতে গুলিয়ে ১০ দিন খাওয়াতে হবে। স্যালাইন খাওয়ানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। পূর্ণ এক প্যাকেট স্যালাইন অবশ্যই আধা লিটার পানিতে গুলে নিতে হবে। আক্রান্ত শিশুদের ডাবের পানি, চিড়ার পানি ও স্যুপ খেতে দিতে হবে। এ রোগ সারতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়