রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৩

বাবু চোরের মৃত্যু নিয়ে মামলা

হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা

কুখ্যাত চোর ও ১৪ মামলার আসামী বাবু গাজী (বাবু চোর)-এর গণপিটুনি এবং পরবর্তীতে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার নিরীহ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোয়ালভাওড় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মঞ্জিল হোসেন বেপারী। উপস্থিত ছিলেন মামলার আসামী হওয়া ভুক্তভোগী ৯টি পরিবারের স্বজনরা। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ফরিদগঞ্জ গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলায় আলোচিত নাম বাবু গাজী। সে একাধারে চোর, মাদক ব্যবাসায়ী এবং আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার নামে আমাদের জানা মতে ১৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। যার মধ্যে চুরি, মাদক, নারী নির্যাতন এবং মোটরসাইকেল চুরির মামলাও রয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে বাবু গাজী এক আতঙ্কের নাম। যতদিন সে জেলে বা এলাকার বাইরে থাকতো, এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতো। কিন্তু যখনই সে এলাকায় আসতো, নিত্যদিন চুরির ঘটনা ঘটতো। ফলে সাধারণ মানুষ তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। গত ১৩ নভেম্বর রাতে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চররাঘররায় গ্রামে বাবু গাজী চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়। পরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে সে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করে । কিন্তু বাবু গাজীর স্ত্রী কুলছুমা তার স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে থানায় আমাদের ৯টি পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা করে। মামলায় আমাদের স্বজনরা তাকে পিটিয়েছে এবং ওই পিটুনির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সত্যি নয়। এই ঘটনার সাথে কোনো ক্রমেই তারা জড়িত নন। তাই মামলা দিয়ে হয়রানি এবং অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে তাদের আসামী করা হয়েছে। আমরা এই মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করছি। যাতে প্রকৃত সত্য জনসমক্ষে উদঘাটিত হয়। ইতোমধ্যেই এলাকাবাসী এই বিষয়ে দুই শতাধিক লোকের স্বাক্ষরযুক্ত একটি গণস্বাক্ষর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত স্বজনদের মধ্যে সোহেল বেপারী, ইউসুফ সর্দার, সুমন খান, মো. আলী, মাওলানা মোক্তার মিয়া, নাজমা বেগম, নুরজাহান বেগম, শারমিন বেগম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়