বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৭

ডাকাতিয়ার নীরব ভাঙ্গন আতঙ্কে উত্তর গুণরাজদী এলাকার শত শত পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
ডাকাতিয়ার নীরব ভাঙ্গন আতঙ্কে উত্তর গুণরাজদী এলাকার শত শত পরিবার

চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের উত্তর গুণরাজদী দর্জিঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর থেমে থেমে ভাঙ্গনে ওই এলাকার দর্জিঘাট হতে আল-আমিন স্কুল ও ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার প্রায় ১শ’ মিটার জায়গা বিলীন হয়েছে। ফলে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছে স্থানীয় শত শত পরিবার। ভাঙ্গনরোধে বরাবরের মতো আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে স্থানীয়রা আশ্বাস নয়, চায় ভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প কেন্দ্র থেকে শুরু করে উত্তর গুণরাজদী এলাকার তালুকদার বাড়ি, গাজী বাড়ি, তহশীলদার বাড়ি এবং ঢালীবাড়ি এলাকার ডাকাতিয়া নদীর তীরে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। বর্ষার পানি নামতে শুরু করায় সেখানে নদীর গভীরতা অনেক বেড়ে গেছে। ওই এলাকায় প্রায় ১শ’ মিটার জায়গা তলিয়ে গেছে নদীতে। এছাড়া ফসলি জমি, পারিবারিক কবরস্থান, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে অনেক বসতভিটা।

স্থানীয়রা জানায়, ডাকাতিয়া নদীতে অসংখ্য ডুবোচর ছাড়াও অহেতুক কয়েকটি চর পড়ে আছে। এছাড়া দক্ষিণ পাশে দেশ এনার্জি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নদী তীরে বালু ভরাট করে রেখেছে। ভরাটকৃত সেই জায়গাটির কারণে নদীর পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে উত্তর-পূর্বদিকে গুণরাজদী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার এই তীব্র স্রোতের কারণে দর্জিঘাট এলাকা দিয়ে নদীর পাড়ে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর উত্তর পাড়ের চরগুলো ড্রেজিং করতে এসেও কাজ সম্পন্ন না করে ফিরে গেছে। কী কারণে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন না করে কর্তৃপক্ষ ফিরে গেছে তা নদীর পাড়ের এলাকার মানুষ জানেন না।

গুণরাজদী এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম ও রাহিম তালুকদার জানান, প্রতিবছরই এখান দিয়ে নদী ভাঙ্গছে।

২০১৭ সাল থেকে ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। এপাড় নদী ভাঙ্গছে ওপাড়ে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের কাছ দিয়ে আবার ধসে পড়েছে। এখানকার নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। নদী ভাঙ্গন রোধে এখনই যথাযথ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে রেললাইন সড়কসহ কয়েকটি এলাকা বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, নদী ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছি। নদীর তীরে ভাঙ্গন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গনের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে ভাঙ্গনরোধের কাজ হবে।

১২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ বলেন, ওই এলাকার বাসিন্দারা আমাকে তাদের এলাকার নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি জানিয়েছে। ডাকাতিয়ার ভাঙ্গনে দর্জিঘাট হতে ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ কেন্দ্র পর্যন্ত এলাকাটি হুমকির সম্মুখীন। নদীর কাছেই রেললাইন এবং বঙ্গবন্ধু সড়ক। আশপাশে বহু বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে এখানে। এই এলাকা রক্ষায় নদীর পাড়ে সিসি ব্লক ডাম্পিং ও ব্লকবাঁধের কাজ করা খুবই জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়