সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে হঠাৎ ধস ॥ ভাঙ্গন আতঙ্কে লঞ্চঘাট এলাকার হাজারো পরিবার
মিজানুর রহমান ও বাদল মজুমদার ॥

চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু সিসি ব্লক হঠাৎ করে মেঘনা নদীতে ধসে পড়ে। এতে করে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল ২ জানুয়ারি রোববার সকালে চাঁদপুর শহরের টিলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্লক দেবে যাওয়ার খবর শুনে আশপাশের মানুষকে দিগি¦দিক ছোটাছোটি করতে দেখা যায়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা স্থানীয় আনোয়ার হাওলাদার জানান, প্রায় ৮০ ফুট জায়গা জুড়ে সেখানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে নদীর গভীরতা অনেক।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর, রফিক, জহিরুলসহ কয়েকজন জানান, সকালে হঠাৎ করে ব্লক দেবে যাচ্ছে বলে মানুষ ছোটাছোটি শুরু করে। প্রায় একশ’ মিটার এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সিসি ব্লক ধসে পড়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে আরো এলাকা ভাঙ্গণ দেখা দিতে পারে। ভাঙ্গন এলাকার আশপাশে প্রায় হাজার পরিবারের লোকজন বসবাস করছে। সবাই আতঙ্কে রয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আমরা সকাল থেকেই কাজ করছি। ভাঙ্গন ও ফাটলের কারণে প্রায় ৮০ মিঃ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভাঙন রোধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে ভাঙ্গনের খবর শুনে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের সাথে কথা হলে তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, ভাঙ্গনের খবর পাওয়ার সাথে আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সাথে কথা বলেছি। তিনি তাৎক্ষণিক চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করার জন্যে। আগামীকাল সকাল থেকেই ভাঙ্গন এলাকায় সিসি ব্লক এবং বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে। শিক্ষামন্ত্রী স্থানীয় পাউবোকে আরো নির্দেশনা দেন ভাঙ্গন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে সবসময় পর্যাপ্ত সংখ্যক জিও ব্যাগ ও ব্লক মজুদ রাখার জন্যে।

মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, বার বার ভাঙ্গনের ফলে চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি আরো জোরালো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়