প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫৪
ফরিদগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস পালন
২৫ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ পাক হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কার্যালয়ে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন সাবু পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্ল্যাহ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ বরকন্দাজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মৃধা।
|আরো খবর
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন সাবু পাটওয়ারী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। যার যার স্থানে সকলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চাই না। একই সাথে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরাও ঐক্যবদ্ধ হবো। তবে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, অর্থলোভী হয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে এবং মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যেসব মুক্তিযোদ্ধার পরিবার জড়িত তাদের বাদ দিয়ে। ফরিদগঞ্জ মুক্ত দিবসে আমরা আজ এই দীপ্ত শপথ নিচ্ছি।
আলোচনা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ফরিদগঞ্জ। এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরস্ত্র জনতার প্রতিরোধের মুখে ফরিদগঞ্জ ছেড়ে চাঁদপুরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে তারা যাওয়ার পথে উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পড়ে। সেখান থেকে চাঁদপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনী সাধারণ মানুষের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটে। এ সময় পাকবাহিনীর গুলিতে কয়েকজন মানুষও মৃত্যুবরণ করেন।