প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
আইন পেশায় গৌরবময় পাঁচ বছরপূর্তি
বাবার অনুপ্রেরণায় সাংবাদিক থেকে আইনজীবী হয়েছেন তাপস
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন যাদেরকে মানুষ এক নামেই চিনে। তাদের মতো অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকারও কুমিল্লা আদালত অঙ্গনে পরিচিত মুখ। আইন পেশায় ভালো করার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও চঞ্চল স্বভাবের তাপস বিভিন্ন খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এই কর্মযোগী মানুষটি বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার তথা ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলাধীন লামচরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৮০ সালের ৫ এপ্রিল পিতা নিখিল চন্দ্র সরকার ও মাতা যোগমায়া সরকারের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেন। জন্মের প্রায় এক বছর পর তার মাতা যোগমায়া সরকার জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পিতা কুমিল্লায় চলে আসেন। কুমিল্লায় আসার কয়েক বছর পর তার পিতা নিখিল চন্দ্র সরকার তৎকালীন সময়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এনরোলম্যান্ট সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে নগরীর ছোটরার বাসিন্দা সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ এনায়েত করিমের মুহুরী হিসেবে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে অ্যাডঃ এনায়েত করিমের মৃত্যুর পর কুমিল্লা বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মরহুম মোঃ সফিকুর রহমান ও নোটারি পাবলিক অ্যাডভোকেট মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান (৩)-এর সাথে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সহিত আইনজীবী সহকারী হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারী তাঁর পিতা নিখিল চন্দ্র সরকার (৭৬) হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন।
|আরো খবর
শিশুকালে মাতৃবিয়োগ হওয়ায় তাপসের শৈশব ও কৈশোর ছিল দুঃখ-কষ্টের। একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে না উঠলেও শিশুকালে মাতৃবিয়োগের পর একই জেলার মতলব উত্তর উপজেলাধীন কোয়রকান্দি গ্রামে মামার বাড়িতে একমাত্র মামার অভাবের সংসারে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাতের মধ্য দিয়ে মামা ও দিদিমার আদর যত্নে বেড়ে উঠেছেন। সবসময়ে ‘পড়তে বসো, পড়তে বসো’ এ কথা শুনেই বড় হয়েছেন। ‘এই কী করছো, পড়ার শব্দ শুনি না কেন?’ মামা ও দিদিমার এ শাসনের কথা এখনো তার কানে বাজে। একটি পরিপূর্ণ পড়াশোনার পরিবেশে বড় হওয়ায় পড়াশোনাটা ন্যাচারালি হয়ে গেছে। মামাতো চার ভাই-দুই বোনের লেখাপড়ার পাশাপাশি তার পড়াশোনার জন্যে তার মামা ও দিদিমা অনেক কষ্ট করেছেন। ছোটবেলা থেকেই একটু চঞ্চল ও দুষ্ট স্বভাবের হওয়ার কারণে কোয়রকান্দি গ্রামের সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তাপস। আর শিক্ষাজীবনে তাকে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা খুব ভালোবাসতেন। তার একমাত্র মামা শ্রীরাম চন্দ্র সরকারের সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণায় ১৯৯০ সালে নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণি উর্ত্তীণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার মনমানসিকতা নিয়ে ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৯৯৫ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং কুমিল্লা অজিতগুহ মহাবিদ্যালয় হতে ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি উর্ত্তীণ হয়ে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০০ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তৎপর বাবার অনুপ্রেরণায় কুমিল্লা আইন কলেজে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে আইন বিদ্যায় স্নাতক অর্থাৎ এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে ২০১৬ সালের ১৪ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে সনদপ্রাপ্ত হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে ৯ জুন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করে আইন পেশায় প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন।
মানব সেবার ব্রত নিয়ে শৈশব থেকেই আইন বিষয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতেন অ্যাডঃ তাপস। তার পিতার স্বপ্ন ছিলো সন্তান একজন আইনজীবী হবে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় অবশেষে পিতার স্বপ্ন বায়স্তবায়ন হলেও আইনজীবী হওয়ার প্রায় এক বছর আগেই তার পিতা মৃত্যুবরণ করায় আইনজীবী হিসেবে সন্তানকে দেখে যেতে পারেননি। তাপস সরকার আইন পেশায় যোগদানের পর জুনিয়র হিসেবে আইনজীবী বান্ধব নেতা কুমিল্লার সাবেক জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সাহেবের প্রতিষ্ঠিত এম. রহমান এন্ড এসোসিয়েটস্-এর সদস্য হিসেবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিজের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দক্ষতার সাথে। এই পেশায় সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও পেশাগত দক্ষতা অর্জন বেশি বলে মনে করেন অ্যাডঃ তাপস। বাংলাদেশের বর্তমান ডিজিটাল যুগের নাগরিকদের আইনী সহায়তা ও সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে কুমিল্লার সাবেক জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের প্রতিষ্ঠিত ‘কর্পোরেট লিগ্যাল সলিউশন সেন্টার’ একটি পথপদর্শক প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ সাল থেকেই অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এই প্রতিষ্ঠানের একজন নিয়মিত সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের আইনী সহায়তা, আইনী পরামর্শ সেবা, কর্পোরেট লিগ্যাল কনসালটেন্সী কোম্পানী আইন কার্যক্রম এবং অন্যান্য সকল আইনী সেবা দিয়ে থাকে। এই সংগঠনের মূলনীতি হচ্ছে ফলপ্রসূ সমাধান, অসাধারণ দলগত চেষ্টা, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন। ‘কর্পোরেট লিগ্যাল সলিউশন সেন্টার’ একটি কুমিল্লা কেন্দ্রিক সংগঠন হলেও সারাদেশে এই সংস্থার আইনজীবীগণ ছড়িয়ে রয়েছেন। তাপস চন্দ্র সরকার ২০০০ সাল থেকে সনদপ্রাপ্তির আগ পর্যন্ত সাংবাদিকতার পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল আমিন ভূঁইয়া’র সেরেস্তায় সততা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে জুনিয়র হিসেবে কাজ করে দেওয়ানী মামলা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন।
গত ০৯ জুন আইন পেশায় যোগদানের গৌরবময় পাঁচ বছরপূর্তিতে অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার তার স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, বাবার অনুপ্রেরণায় মানব সেবার ব্রত নিয়ে সাংবাদিকতা থেকে আইন পেশায় এসেছি। সবাই স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে একটি সম্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল করবে। মানুষ ভেদে স্বপ্নও থাকে আলাদা আলাদা। তদুপরি যতোগুলো সম্মানজনক পেশা আছে তার মধ্যে আইনজীবী হলো একটি। দক্ষ আইনজীবী হতে চাইলে এ পেশার সাথে লেগে থাকতে হবে। এ পেশায় যারা আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে অ্যাডঃ তাপস চন্দ্র সরকার বলেন, যারা শর্টকাট পথ খোঁজেন তাদের জন্য আইন পেশা নয়। কোর্টের বারান্দায় এসে কিছু করতে পারছি না বলে অল্পতে হতাশ হয়ে পড়লে তাকে দিয়ে আইন পেশা হবে না। এ পেশায় লেগে থাকতে হবে। শুরুতেই কোনো টাকা পয়সা হবে না-এমন ধারণা নিয়ে পেশাকে ভালোবেসে শুরু করতে হবে। লেগে থাকলে টাকা পিছু ছুটবে। টাকা আপনার অজান্তেই যখন আসবে তখন টাকা রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না। ভালো আইনজীবী হতে পারলে টাকা আপনাকে অনুসরণ করবে। সিনিয়র আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। কোর্টের কিছু রুলস রেগুলেশন মেনে চলতে হয়। আইন পেশা সাধনার বিষয়, ধৈর্য থাকতে হবে। দেশে-বিদেশে সবচেয়ে পরিচিত ও চ্যালেঞ্জিং পেশাগুলোর একটি হলো আইন পেশা। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, বিচার বিশ্লেষণী ক্ষমতা, পেশাদারিত্ব, দায়িত্ববোধ, সততা, পরিচ্ছন্ন আচরণ-ভূষণ দ্বারা নিজ পেশার মর্যাদা উজ্জ্বল করাটাই একজন আইনজীবীর দায়িত্ব। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়, সমাজ ও রাষ্ট্রের মঙ্গলে দেশের কল্যাণমুখী রাজনীতিতে অ্যাডভোকেটদের সক্রিয় প্রতিনিধিত্ব থাকবে এটি স্বাভাবিক চিন্তা। আইন নিয়ে জীবিকা একটি মহান পেশা। তবে সেবার মনোভাব নিয়ে আইন পেশায় কাজ করতে হবে। এই পেশা একটি মহৎ পেশা। এর মাধ্যমে অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে সহায়তা করা যায়। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ সেবার ব্রত নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারাই প্রকৃত মানবতা। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম-বর্ণ, ধনী-দরিদ্র, বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি পেশার মানুষ বিবেচনা করা যায় না। মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে যে কোন পরিস্থিতিতে অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রাপ্তির বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ একজন আইনজীবীর রয়েছে।
আইন পেশায় আসার গল্প শুনিয়ে তিনি আরো বলেন, বাবা-মামা দুজনই আমার সব অর্জনের আঁতুড়ঘর। সবকিছু মিলিয়ে পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না বরং উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছি বাবা ফাইল হাতে নিয়ে কোর্টে যেতেন। মাঝে মধ্যে বাবার সাথে আদালতে আসলে দেখতাম বিজ্ঞ আইনজীবীরা কালো কোর্ট ও টাই পরিধান করে মামলা শুনানি করছেন। তখন থেকেই কালো কোর্টের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। বাবা ছিলেন বিশাল মনের অধিকারী, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিল তাঁর। মানুষের প্রতি বাবার ভালোবাসা সবসময় আমাকে দারুণভাবে স্পর্শ করতো। দরিদ্র মানুষকে বাবা খুব সাহায্য করতেন। আমিও বাবার মতো কাজের মাধ্যমে মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি। আইনি সেবা দিয়ে মানুষের সেবা করার বড় একটা সুযোগ রয়েছে। বাবা-ই হলেন আমার বড় অনুপ্রেরণা। আইন পেশাতেই লেগে থাকবো। এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
এই তরুণ অ্যাডঃ তাপস চন্দ্র সরকারের ব্যক্তিগত জীবন সুখসমৃদ্ধময়। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নস্থিত ডুমুরিয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ি নিবাসী স্বর্গীয় যোগেশ চন্দ্র মজুমদারের বড় ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুবাস চন্দ্র মজুমদারের ঔরসজাত ও কাজল রাণী মজুমদারের গর্ভজাত একমাত্র কন্যা রিতা রাণী মজুমদারের সাথে ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার (৭) কুমিল্লা রোজ গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এবং একমাত্র ছেলে অরণ্য সরকার প্রিন্স (৫) শিশু শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কুমিল্লা মহানগরীর কালিয়াজুরীতে ভাড়া বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।
তাপস চন্দ্র সরকার ২০০০ সাল থেকে ‘পাক্ষিক বিবর্তন’ পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করার সুবাদে তৎকালীন দৈনিক আমাদের কুমিল্লার সম্পাদক ড. আলী হোসেন চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের প্রকাশিত ও সম্পাদিত চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লার সেতুবন্ধন ‘দৈনিক আমাদের কুমিল্লা’ পত্রিকায় প্রথমে কোর্ট প্রতিনিধি পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ১০ (দশ) বছরের অধিক সময় ‘স্টাফ রিপোর্টার’ এবং প্রতি বুধবারে প্রকাশিত ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য’ বিভাগ সম্পাদকীয় পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও সাপ্তাহিক দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকায়ও স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কুমিল্লার স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর মত একজন কীর্তিমান গণমাধ্যমকর্মীর জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলবে। তিনি প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় জুড়ে সংবাদকর্মী হিসেবে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সহিত সংবাদ জগতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিচরণ করছেন। তিনি কেবল একজন আইনজীবী-ই নন, একজন গণমাধ্যমকর্মী, লেখক, সমাজসেবক এবং সংগঠকও বটে।
অ্যাডঃ তাপস শত ব্যস্ততার মধ্যেও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি প্রেস ক্লাব, মুরাদনগর দড়িকান্দি শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদ, কুমিল্লা নজরুল পরিষদ সদস্য, কুমিল্লা কালচারাল কমপ্লেক্স সদস্য, মহেশাঙ্গন শ্রী শ্রী লোকনাথ যুব সেবা সংঘের সদস্য, কুমিল্লা ইয়াং ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির রিক্রিয়েশান সাব-কমিটির পরপর দুবার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান।