প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প অভ্যন্তরের প্রায় ৭শ’ একর জমি অনাবাদী থাকার আশঙ্কা
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে চাঁদপুর সদর ও ফরিদগঞ্জের ৮টি চরের প্রায় ৭শ’ একর জমি এবার অনাবাদী থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা দাবি করছেন, যথা সময়ে পানি নিষ্কাশিত না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
|আরো খবর
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাসিপুরচর, চরমটকিরচর, বাঁশতলীরচর, সেকদীর চর, কেরোয়ারচর, ধানুয়ারচর ও নানুপুর পাম্প হাউজের সামনের উত্তরের চরের বিশাল এলাকায় এক হাঁটু আবার কোথাও তার উপরে পানি আটকে আছে। চরমটকি চরের কৃষক বিল্লাল মিজি, কামরুল হাসান ও আল আমিন খান, ঘাসিপুরচরের মকবুল হোসন জানান, তাদের এলাকার প্রায় চারশত একর জমি এখনো তিন ফুট আবার কোথাও চার ফুট পানির নিচে রয়েছে।
বাগাদী ইউপির স্থানীয় মেম্বার ইউসুফ শেখ জানান, এসব অঞ্চলের কৃষকরা ধানের বীজতলা করে এখন বিপদে রয়েছেন। অগ্রহায়ণ মাসের শেষদিকে ধানের চারা রোপণের সঠিক সময়। অথচ বর্তমানে পৌষ মাস চলছে। তাই চলতি সময়ে যদি এসব ধানের চারা রোপণ না করা যায় তাহলে এসব জমি অনাবাদীর পাশাপাশি কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এদিকে বেশ ক’জন কৃষক অভিযোগ করে জানান, বাঘড়া বাজারে বালুু ও সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের নৌযান চলাচল ও পরিবহন ব্যবসার সুবিধার জন্য তাদের সাথে স্থানীয় পাউবোর কর্মরত কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে তারা ভেতরের পানি নিষ্কাশন করছেন না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল পাউবোর কতিপয় কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার জন্যে এসব এলাকায় কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান। তিনি অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান।
এদিকে কৃষকদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে পাউবো চাঁদপুরের চর বাগাদী পাম্প হাউজে কর্মরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বদরউদ্দিন মোল্লা বলেন, এই সেচ প্রকল্পটির সব জায়গার পানির লেভেল এক রকম নয়। উল্লেখিত জমিগুলি সর্বনি¤œ নিচু এলাকা। যে কারণে এখানে পানি একটু বেশি থাকে। বর্তমানে ওয়াটার বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পানির লেভেল রয়েছে বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা। তারপরও কৃষকদের সুবিধার জন্য কিছু পানি নিষ্কাশন করবেন বলে জানান।