প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:০১
আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ দেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর বিজয় দেখতে চায় ঃ শায়খুল হাদীস আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি নারী অধিকার সংস্কার। সংস্কারের নামে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা জাতি জানতে পেরেছে, ওলামা কেরাম এর প্রতিবাদ করছে। এটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এ দেশের মুসলমান বলতে কিছু থাকবে না। সংস্কার কাদের নিয়ে হবে? আমরা মনে করি সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কারের পর ধাপে ধাপে সংস্কার করতে গেলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে। সংস্কারও দরকার নির্বাচনও দরকার। আমরা মনে করি, ঐক্যবদ্ধভাবে সকল রাজনৈতিক দল একত্রে বসলে আমরা কী ধরনের নির্বাচন আশা করি তা জানলে হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়। ধাপে ধাপে বসে প্রস্তাব নিলে সঠিক সংস্কার হবে না।
|আরো খবর
রোববার (৬ জুলাই ২০২৫) সকালে বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন কমিউনিটি সেন্টারে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচন চায়। বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। এ দেশের জনগণ তাদেরকে মেনে নিতে পারে নি। বিগত সরকারের আমলের ভয়ংকর চিত্রের কথা সবার জানা রয়েছে। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে তাদের কর্মকাণ্ড হয়ত আরো ভয়ংকর হবে। সাধারণ মানুষ এখন বিষয়গুলো চিন্তা করছে ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ইসলামীদলগুলোর বিজয় দেখতে চায়। সেই মোতাবেক ইসলামী দলগুলো চেষ্টা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারি।
পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্প্রতি অনেক কথা উঠছে। আমি মনে করি, এটিকে সমর্থন করার মতো। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সকল ভোটারের ভোটের ফল এখানে নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হলে দেখা যায়, ৩০০ আসনে চার হাজার প্রার্থী থাকে, কিন্তু নির্বাচিত হয় ৩০০ জন। অপরদিকে বাকি প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছে, সেটি কোনো কাজে লাগে না, এটি হতে পারে না। তাই পিআর পদ্ধতিতে সকল ভোটারের ভোট কাজে লাগবে। যেহেতু আমাদের দলে নীতি নির্ধারণে
অনেক নেতৃবৃন্দ আছেন, তাই তারাসহ বসে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত হচ্ছে, পদ্ধতিটি থাকলে ভালো হয়।
এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার আমীর মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সফিকুল ইসলাম, জামিয়া ইয়াহ ইয়া উলুমুল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাও. তৈয়বুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েব আমীর মনিরুজ্জামান, নায়েবে আমীর মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি চাঁদপুর জেলা শাখার মাও. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ভোলা জেলার প্রচার সম্পাদক শাহিন আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।