প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৫
ফেসবুকে দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জে যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা
ফরিদগঞ্জে যুবদল নেতার ফেসবুক ভিডিওতে দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক খানের বসত ঘরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
|আরো খবর
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজলার রুপসা (উত্তর) ইউনিয়নের উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক খাঁনের বাড়িত ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেল থেকে দফায় দফায় বাড়ি ঘরে ভাংচুরের ঘটনায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ফারুক খানের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির রোড মার্চে যাওয়ার সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক খাঁন তার নিজ ফেইজবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই যুবদল নেতার বাড়িত হামলা করা হয়ছে বলে জানান স্থানীয়রা ।
এদিকে একইদিন বিকেলে ফেসবুকের বক্তব্যের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান রানা, আরিফুর রহমান আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম সহ রুপসা বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা করেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু এবং পরে যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন সহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে ফারুক খানের স্ত্রী সেলিনা আক্তার এই প্রতিবেদককে জানান, আজ জুমার নামাজের পর আমার বাড়িতে কে বা কাহারা কয়েকটি দলে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়, ঘরে ডুকে পেছন থেকে আমাকে থাবা দিয়ে ধরে আমার হাতে থাকা এক ভরি ওজনের একটি ব্যাজলাইট নিয়ে যায়। আমার রুম থেকে ছাঁদে যাওয়ার একটা দরজা আছে এই দরজা দিয়ে গিয়ে আমার ছোট ছেলে সাইফ'কে ছাদ থেকে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দেয়। ইট মেরে আমার ঘরের জানালাগুলোর কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে এবং আমার ঘরে ডুকে কয়েকটি রুমে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলার সময় আমি ৯৯৯ নাম্বারে তিনবার কল দিলেও পুলিশ আমার কল ধরে নি। রুমের তালা লাগানো দরজা লাথি মেরে রুমের ভিতরে ডুকে ভাংচুর করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি আমার জীবন ও ইজ্জত নিয়ে পালিয়ে যাই ।
এবিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছি। হামলার বিষয়ে উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, ফারুক খাঁন যে বক্তব্য দিয়েছে তার প্রতিবাদে আজ আমরা প্রতিবাদ মিছিল করেছি। তার বাড়িতে কে হামলা করেছে এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা্।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেননি।