সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

শতভাগ বিদ্যুতে দশ ভাগ জনবল!

শতভাগ বিদ্যুতে দশ ভাগ জনবল!
অনলাইন ডেস্ক

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় ঢুকছে না। রেলওয়ের আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন করা হচ্ছ, কিন্তু জনবল বাড়ানো হচ্ছে না। সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)কে দিয়ে সেতু বানানোর পাশাপাশি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে দিয়েও সেতু বানানো হচ্ছে। সেতুতে সেতুতে সয়লাব (!) করতে গিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় রাস্তা বা সড়ক খুঁজে না পেয়ে বিলের মাঝখানে, বাড়ির পেছনে, পাহাড়ের ভেতরে সেতু বানিয়ে চরম বাজে নজির স্থাপন করেছে। কোথাও কোথাও সেতু না বানিয়ে পুরো টাকা শাসকদলীয় প্রভাবশালীরা ভাগ করে নেয়ার অভিযোগ শোনা গেছে। বাজেট ঘাটতির দেশে সেতু বানানোর নামে এমন অপচয় নিশ্চয়ই কোনো মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের স্বার্থে যে হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত নেই এবং সরকারের কোনো বক্তব্য বা ব্যবস্থাগ্রহণের উল্লেখযোগ্য নজির নেই।

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, যার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতিসংঘের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী এটি একটি স্বল্পোন্নত দেশ। এক সময় বাংলাদেশ ছিলো এলএলডিসি অর্থাৎ লাস্ট অব দ্যা লিস্ট ডেভলপিং কান্ট্রি (সবচে’ কম উন্নয়নশীল দেশগুলো)-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। সে অবস্থা থেকে উঠে এসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে পেরেছে-এটা অনেক বড় অর্জন। এই অর্জনের পেছনে বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি যে বড় একটা ভূমিকা রেখেছে-সেটা হলফ করেই বলা যায়। বাংলাদেশ চলমান মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের একেবারে দ্বারপ্রান্তে। শতভাগ জনপদে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশও বাংলাদেশের বহু পেছনে পড়ে আছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর ২০২১-এর আগেই বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে। রেল ও সড়ক-সেতুতে উন্নয়নের জোয়ার এবং বিদ্যুৎ সেক্টর উৎপাদনের রেকর্ডে আত্মশ্লাঘার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছার আনন্দে আমরা যখন উদ্ভাসিত, তখন গতাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় বক্স আইটেমে শীর্ষ খবর বেরিয়েছে যে, জনবলের মহাসংকটে চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ৬৫ হাজার গ্রাহকের সেবায় মাত্র ৭১ কর্মকর্তা-কর্মচারী, যা প্রয়োজনীয় জনবলের এক দশমাংশও নয়।

এ খবরের গর্ভে লিখা হয়েছে, ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক সভায় তৎকালীন বোর্ড চেয়ারম্যান ১৮ হাজার গ্রাহকের প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জন্যে ১১৯টি সৃষ্ট পদের অনুমোদন দিয়ে প্রয়োজনীয় জনবলের চাহিদা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং সৃষ্ট শূন্য পদে জনবল নিয়োগের নির্দেশনা দেন। গত ১৭ বছরে সে নির্দেশনা পুরোপুরি কার্যকর না হলেও গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে বাড়তে বতর্মানে ৬৫ হাজারে গিয়ে পৌঁছেছে, অথচ ১৮ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের সেবার জন্যে সৃষ্ট ১১৯ পদের বিপরীতে ৭১ জন কর্মরত রয়েছেন।

চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, এক সময় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেতো না গ্রাহক। আর এখন চাহিদার শতভাগ পূর্ণ হলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নেই। এই না থাকাকে শুধু সংকট বললে কম হবে, মহাসংকটই বলতে হবে। কেননা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যমান জনবল প্রয়োজনের তুলনায় এক দশমাংশেরও কম। আমরা এমন কঠিন বাস্তবতাতে উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়