শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

শবে ক্বদর যেনো আমাদের ভাগ্যে জুটে

অনলাইন ডেস্ক
শবে ক্বদর যেনো আমাদের ভাগ্যে জুটে

আজকের রাতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক মর্যাদার এবং গুরুত্বের। যে রাতটিকে বলা হয় শবে ক্বদর। এটি ফার্সি এবং আরবি ভাষার সংমিশ্রণ। কোরআনের ভাষায় বলা হয় লাইলাতুল ক্বদর। ২৬ রমজান দিবাগত রাত পবিত্র শবে ক্বদর পালন হয়ে আসছে মুসলিম বিশ্বে। যদিও এ রাতটি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দিষ্ট করে দেন নি।

এ রাত মুসলিম উম্মাহর কাছে এতোটা গুরুত্ব এবং মর্যাদাবান হওয়ার কারণ হলো- মুসলমানদের যে ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন প্রথম অবতীর্ণ হয় এই রাতে। ঐশী গ্রন্থ আল-কুরআন এই রাতে হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার উপর সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়। সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব সর্বশেষ নবীর উপর অবতীর্ণ হয় ক্বদরের রাতে। এ প্রসংগে পবিত্র কোরআন মাজীদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কোরআনে শবে ক্বদর নিয়ে 'সূরাতুল ক্বদর' নামে স্বতন্ত্র একটি সূরা রয়েছে। এই সূরায় ক্বদর রাতের মর্যাদা এবং মাহাত্ম্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই সূরাতেই বলা হয়েছে- "নিশ্চয়ই আমি ক্বদরের রাতে কোরআন নাজিল করেছি।" পরের আয়াতে উল্লেখ রয়েছে- "লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।" ক্বদরের রাতে ইবাদত করলে হাজার মাস ইবাদত করার সাওয়াবের অধিক সাওয়াব পাওয়া যায়। তার কারণ হলো- এই রাতে কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মহিমান্বিত রাত রাব্বুল আলামিন শুধু উম্মতে মোহাম্মদিকে দিয়েছেন।

এখন এই রাত কোনটি সেটা জানার বিষয়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশদিনের বিজোড় রাতে শবে ক্বদর তালাশ করো। শেষ দশদিনের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে ক্বদর হবে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে ক্বদর নির্দিষ্ট করে না দেয়ার মধ্যে হেকমত রয়েছে। উম্মত যেনো রমজানের শেষ দিকে এসে ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত কাটিয়ে দেয় শবে ক্বদর পাওয়ার আশায়। আর শবে ক্বদর যেনো উম্মত থেকে ছুটে না যায় সে জন্য রমজানের শেষ দশদিন ই'তিকাফের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উম্মত যদি ইতিকাফ করে তাহলে শবে ক্বদর ছুটে যাওয়ার কোনো আশংকা নেই।

এখন প্রশ্ন হলো- আমরা ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে শবে ক্বদর হিসেবে নির্দিষ্ট করে ফেললাম কীসের ভিত্তিতে? তার জবাব হচ্ছে- মুসলিম উম্মাহর প্রথমসারির একজন মুজতাহিদ প্রখ্যাত তাবিয়ী ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে শবে ক্বদর বলে মতামত দিয়েছেন। এর দ্বারা তিনি উম্মতে মোহাম্মদির উপর অনেক বড় এহসান করেছেন। মুসলমান একনাগাড়ে পুরো দশদিন ইবাদত করতে না পারলেও অন্তত একটি রাত যেনো ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়।

রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের প্রার্থনা- পবিত্র শবে ক্বদর যেনো তাঁর বান্দাদের ভাগ্যে জুটে। কোনো মুমিন বান্দা জীবনে যদি একবার শবে ক্বদর পেয়ে যায় তাহলে সেই বান্দার ভাগ্য সুপ্রসন্ন। শবে ক্বদরের উছিলায় যেনো রাব্বুল আলামিন আমাদের ক্ষমাশীল বান্দা হিসেবে কবুল করে নেন এটাই তাঁর কাছে প্রার্থনা।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়