রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ইলিশের ওপর ভোক্তা অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকুক
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরে ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার বড় স্টেশন মাছঘাট। অতিরিক্ত দামে ইলিশ বিক্রি বন্ধে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা টিম। তাদের সহযোগিতা করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে এই বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় কাউকে জরিমানা না করলেও সবাইকে আইনি সতর্ক করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন জানান, আড়তদার, পাইকারী বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতা সবাইকে ভাউচার রেখে ন্যায্য দামে ইলিশ মাছ বিক্রি করতে বলা হয়েছে। কেউ অন্যায়ভাবে অন্যায্যভাবে অতিরিক্ত দামে ইলিশ মাছ বিক্রি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে কোনো মাছ বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়নি, সবাইকে আইনি সতর্ক করা হয়েছে। এখন থেকে আড়তদার, পাইকারী বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতাগণকে পাকা ভাউচার রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও অনলাইন মাছ বিক্রেতাগণ যেন সমিতিতে নাম এন্ট্রি করে মাছ বিক্রি করে তা সমিতির সভাপতিকে নিশ্চিত করা এবং তার একটা লিস্ট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে দেয়ার জন্যে বলা হয়েছে।

ইলিশের ওপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের জন্যে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমরা এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা চাই। প্রথম দিনে জরিমানা না করে আইনি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটাও সঠিক বলে মনে করি। তবে পরবর্তী বাজার মনিটরিংকালে জরিমানার প্রয়োজনীয়তা থাকার পরও সেটা না করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

বলা দরকার, চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে সরকারিভাবে ব্র্যান্ডিং তথা অ্যাখ্যায়িত করার পর ইলিশ রক্ষায় গুরুত্বারোপ করা হয় পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি। এর সুফল সামগ্রিকভাবে দেশ ভোগ করলেও চাঁদপুর জেলাবাসী ভোগ করছে বলে মনে হচ্ছে না। যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই দুর্মূল্যের কারণে চাঁদপুরের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যে ইলিশ খাওয়াটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ইলিশ প্রাপ্তির প্রাচুর্যের সময়ও ইলিশের দাম কমানো হয় না ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার উপায় খুঁজে বের করতেই হবে এবং ইলিশের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতেই হবে। অন্যথায় ইলিশের জাতীয় মাছ হওয়াটা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা বোধ করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়