রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

বাবুরহাটের প্রতি সদয় হোন

বাবুরহাটের প্রতি সদয় হোন
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের দেশে বাবুরহাট, বাবুবাজার, বাবুর রাস্তা, বাবুর ঘাট ইত্যাদি নামে কতো কিছু যে আছে, সেটার বিবরণ দেয়া কষ্টকরই বটে। চাঁদপুরেও রয়েছে বাবুরহাট। এককালে শহরতলীতে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এই বহুল পরিচিত স্থানটি এখন চাঁদপুর পৌরসভার সম্প্রসারিত এলাকার ১৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। এখানে শতাব্দী প্রাচীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রসিদ্ধ বাজার, দুটি কলেজ, একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মডেল টাউন, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, চাঁদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনসহ নিকটবর্তী স্থানে রয়েছে জেলা পরিষদ, পুলিশ লাইন, সরকারি শিশু পরিবার, মূক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুল, বিসিক শিল্পনগরী, জেলখানা, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর সদর দপ্তর ও দুটি ফিলিং স্টেশনসহ ছোট-বড় অনেক কিছু। অথচ এ স্থানটি নানাভাবে অবহেলিত।

গত মঙ্গলবার চাঁদপুর কণ্ঠে ‘টেন্ডারের দেড় বছরেও নির্মিত হয়নি বাবুরহাটে গণশৌচাগার ॥ জরাজীর্ণ গরু জবাইর স্থান’ শীর্ষক সংবাদে এমন অবহেলার প্রমাণ মিলে। এ সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, বাবুরহাট-মতলব রোডে যাত্রীদের সুবিধার্থে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু টেন্ডারের দেড় বছর পরও নির্মিত হয়নি এই গণশৌচাগারটি। চাঁদপুরের ট্রানজিট পয়েন্ট নামে খ্যাত বাবুরহাট-মতলব রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাফেরা করে। রাজধানী ঢাকার সাথে দূরত্ব কমানোর জন্যে চাঁদপুরের আশপাশের ক’টি জেলা বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়কটি ব্যবহার করে। কিন্তু জনাকীর্ণ স্থানটিতে কোনো গণশৌচাগার না থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলরের আবেদনের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর পৌর মেয়রের অনুরোধে শিক্ষামন্ত্রীর থোক তহবিল থেকে চাঁদপুর পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি গণশৌচাগার স্থাপনের জন্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তন্মধ্যে বাবুরহাট-মতলব রোডেরটি ১টি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে ওয়ার্ক অর্ডার গ্রহণ করে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরেও কাজ শুরু করেনি বলে জানা যায়। এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের থোক তহবিল থেকে কাজটি প্রদান করা হয়েছে। পৌরসভার স্থানজনিত জটিলতার কারণে কাজটি করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আমাকে জানানো হয়। বর্ষার কারণে এ বছরও কাজটি করা সম্ভব হবে না।

চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল ইসলাম নয়ন মিজি জানান, গণশৌচাগারটি মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে মতলব রোডে কসাইখানা সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের জায়গায় স্থাপনের জন্যে স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নিজের খেয়াল খুশিমত মেয়র মহোদয়কে অবহিত না করে বাবুরহাট বাজারের গরু জবাইয়ের স্থানটি ভেঙ্গে সেখানে গণশৌচাগার নির্মাণের প্রস্তুতি নেয় এবং কিছু অংশ ভেঙ্গেও ফেলে। আমি ঘটনাটি জেনে মেয়র মহোদয়কে অবগত করে ঠিকাদারকে বাধা দেই এবং সংলগ্ন স্থানে গণশৌচাগার স্থাপনের জন্যে পুনরায় স্থান নির্ধারণ করে লে-আউট প্রদানের ব্যবস্থা করি। এদিকে গরু জবাইয়ের স্থানটি জরাজীর্ণ থাকায় ও পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় সেখানে গরু জবাই করা যাচ্ছে না বলে বাজারের মধ্যেই কয়েকজন গরু জবাই করে থাকেন। এতে বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কয়েকদিন পর পর বন্ধ হয়ে যায় এবং মারাত্মক দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান, স্থানটি সংস্কারসহ বড় করার জন্যে ইতিমধ্যেই মেয়র মহোদয়কে জানানো হয়েছে, আশা করি অতি শীঘ্রই এখানে সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় কাজ করা হবে।

আমরা চাঁদপুর শহরের সম্প্রসারিত এলাকার সম্ভাবনাময় ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বাবুরহাটের প্রতি সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সদয় হবার জন্যে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি। এখানে সর্বোচ্চ উন্নয়ন সম্ভব না হলেও অতি প্রয়োজনীয় উন্নয়ন সম্পাদন করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছি। আমরা স্থানীয় এমপি মহোদয়কে বাবুরহাটের সম্ভাবনা ও গুরুত্বের নিরিখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগ্রহণে তাঁর বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধের বিষয়টিতে আন্তরিক হতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়