রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

পিবিআই’র এমন তৎপরতা স্বস্তিদায়ক
অনলাইন ডেস্ক

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করলেও মামলা তদন্তের কার্যক্রম শুরু করে ২০১৬ সালে। প্রথমাবস্থায় এ ইউনিটটি জেলা পর্যায়ে ইন্সপেক্টর/সহকারী পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে খোলা হয়। তখন ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাপট খুব দেখা গিয়েছিলো। চাঁদপুরে তো এক ইন্সপেক্টর নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর ভেবে বাড়াবাড়ি যদ্দুর করা দরকার ততটুকুই করেছেন--এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু পিবিআইর প্রায় প্রতিটি জেলা ইউনিটে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদায়ন করার পর চাঁদপুরসহ অন্যত্র পিবিআইর কর্মকর্তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথাবার্তা শোনা যায় না বললেই চলে। বরং প্রায়শই শোনা যায় আশানুরূপ ও আশাব্যঞ্জক সাফল্যের খবর। এমন একটি খবরই হচ্ছে ‘কচুয়ায় এক ক্লুলেস অপহরণ মামলায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পিবিআই’। এ খবরটি গত বুধবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় অন্যতম শীর্ষ সংবাদ হিসেবে ছাপা হয়েছে।

খবরটিতে প্রতিবেদক মিজানুর রহমান লিখেছেন, কচুয়ায় স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ক্লুলেসভাবে অপহরণের পরও তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। আর এরপর ওই নারী শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়। ৩ জুলাই সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে চাঁদপুরের পিবিআই। তথ্য মতে, কচুয়ার ড. মনসুর উদ্দীন কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে একাদশ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী (১৬)কে অপহরণ করে এক যুবক। পরবর্তীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। মামলা নং-১৭৮/২০২৩ খ্রিঃ। আর এরপরেই পিবিআইর তদন্তে ক্লুলেস এই অপহরণে ভিকটিমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে অপহৃত শিক্ষার্থী বলেন, প্রেমের ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ হয়ে আমাকে অপহরণ করে আসামী মোঃ জাহিদ হোসেন। আমি তার শাস্তি দাবি করছি। অপহৃতার মা বলেন, আমার মেয়েকে আমাদের কোলে ফিরিয়ে দেয়ায় পিবিআইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসামী জাহিদের উপযুক্ত শাস্তি আমরা দাবি করছি। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর উপ-পুলিশ পরিদর্শক রিয়াদ মাঈনুদ্দীন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা কচুয়ার মাছিমপুর এলাকা হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। এরপর তাকে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি গ্রহণের জন্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আসামী জাহিদকে আটকের বিষয়ে তৎপরতা চলছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জুন কলেজ শিক্ষার্থীটি অপহরণ হয়।

পিবিআইর এ তৎপরতাটি কতোটা স্বস্তিদায়ক সেটা অপহরণ হওয়া কলেজ ছাত্রীর মায়ের সন্তোষজনক বক্তব্যেই অনুমিত হয়। কলেজ ছাত্রীটির অপহরণের ঘটনা গণমাধ্যমে এতোটা প্রকাশিত হয়নি যে, পিবিআই খুব চাপের মধ্যে ছিলো। তারপরও ঘটনার এক মাসের মধ্যেই ছাত্রীটিকে পিবিআই তাদের তৎপরতায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, যেটাকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বললে অত্যুক্তি হবার কথা নয়। আমরা বাদীর জোর তদবির কিংবা কারো চাপ ছাড়া কোনো মামলার অগ্রগতিকে স্বাভাবিক মনে করি। কচুয়ার অপহৃতা কলেজ ছাত্রীটির উদ্ধার কার্যক্রম যদি তেমন স্বাভাবিক কিছু হয়ে থাকে, তাহলে চাঁদপুর পিবিআইকে একই সাথে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়