প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৫, ০২:৩১
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট শতবর্ষী মসজিদের নির্মাণশৈলীই সকলের দৃষ্টি কাড়ে

শতবর্ষী মসজিদটির নির্মাণশৈলীই দৃষ্টি কাড়ে সকলের। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পোয়া গ্রামের মহরম খান বাড়ির সামনে অবস্থিত এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির বয়স ১১২ বছর। চুন-সুরকি দিয়ে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি তৈরি করেন মরহুম মহরম খান।
|আরো খবর
শতবর্ষী এই মসজিদটি ইতোমধ্যেই উপজেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। মসজিদের পাশে শান বাঁধানো ঘাট রয়েছে, যাতে আগত মুসল্লিরা সহজেই অজু করে নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদের পাশেই রয়েছে পোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মহরম খানের প্রপোত্র মোহাম্মদ উল্লাহ খান জানান, আমার বড়ো বাবা মরহুম মহরম খান সাহেব বাংলা ১৩২৪ বঙ্গাব্দে এই তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করেন। ওই সময়ে এই অঞ্চলের রূপসা জমিদার বাড়ির মসজিদটি যেসব কারিগর তৈরি করেছিলেন, তারাই এই মসজিদটি তৈরি করেন। আমরা শুনেছি, রূপসা জমিদারদের মসজিদের আদলে চুন-সুরকি দিয়ে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়। মহরম খানের মৃত্যুর পর তাঁর বড়ো ছেলে আমার দাদা মরহুম সাদেক খান সাহেব মোতাওয়াল্লি, এরপর আমার বাবা মো. আব্দুল্যাহ খান সাহেব মোতওয়াল্লি ছিলেন। তিনি বয়সের কারণে তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর আমি মোতওয়াল্লি হিসেবে কাজ করছি। এছাড়া মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছি।
মসজিদটিতে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হয়। মসজিদের ভেতরে ইমাম বা খতিবের জন্যে আলাদা স্থান রয়েছে। প্রতিদিন আগত দর্শনার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন নামাজ পড়তে আসেন এখানে।
মসজিদের অনতিদূরে অবস্থিত পোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই প্রধান শিক্ষক গিয়াস কবির বলেন, শতবর্ষী এই মসজিদটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি এটি মোগল আমলের মসজিদের আদলে তৈরি করা। তাছাড়া পোয়া তিন রাস্তার মোড়ে হওয়ায় মসজিদটি সকলেরই দৃষ্টি কাড়ে। প্রায়শই লোকজন মসজিদ দেখতে আসে। এটি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে। মসজিদ দেখে মনে নিদারুণ শান্তি পাওয়া যায়।
ডিসিকে /এমজেডএইচ