প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭
খোশ আমদেদ মাহে রমাদ্বান
মুত্তাকীর জন্য বান্দার হককে প্রাধান্য দেয়া অতীব জরুরি

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য রমজানের এক মাস রোজা দিয়েছেন আমরা যেনো মুত্তাকী হতে পারি। এক মাসের সিয়াম সাধনা পরিপূর্ণ অর্জন করতে পারলেই মুমিন বান্দা মুত্তাকী হবেন। মুত্তাকী হওয়ার জন্য একজন মুমিনের মাঝে কী কী গুণাবলি থাকতে হবে তা ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি। এখন জানতে হবে মুত্তাকী হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়গুলো কী কী। যদিও ইতিপূর্বের লেখায় 'অমানবিক, ও 'গর্হিত' কাজ থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে। তারপরও সুনির্দিষ্ট কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা দাবি রাখে।
'অমানবিক' ও 'গর্হিত' কাজ বলতে যা বুঝায় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে- বান্দার হক। প্রথমতঃ বান্দার হক হচ্ছে কোনো মানুষকে কষ্ট না দেয়া। সেটা হাতের দ্বারা হোক অথবা কথার দ্বারা হোক।
এরপর বান্দার হকের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতে হয়- কারো অধিকারকে ক্ষুণ্ণ না করা, কারো প্রাপ্য তাকে না দেয়া, কারো উপর জুলুম করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো মানুষকে কেহ যদি কষ্ট দেয় সে আমার উম্মত না। হোক সে অন্য ধর্মের। আমরা দেখি যে- রমজান আসলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও দাম বাড়িয়ে দেয়া হয় কয়েকগুণ বেশি। আবার কেহ কেহ মাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এ সময়টাতে মানুষের জীবিকা নির্বাহ করতে নাভিশ্বাস উঠে যায়। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ কাজগুলো করে থাকে। অথচ সে রোজাদার, মুসল্লি। সে রোজাও রাখে, নামাজও পড়ে। কিন্তু দ্রব্য সামগ্রীর দাম অন্যায়ভাবে বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়। তার এই নামাজ, রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত কোনো কাজেই আসবে না। সে জন্য কোনো কোনো ইসলামী গবেষক এবং দার্শনিকগণ বলেছেন, মুত্তাকী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত অন্তরায় হচ্ছে মানুষকে কষ্ট দেয়া, মানুষের হক নষ্ট করা। তাই রমজানের রোজার উদ্দেশ্য যে- মুমিন যেনো মুত্তাকী হয়, আর তা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বান্দাকে কষ্ট দিয়ে, বান্দার হক নষ্ট করে।