প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৩
বিবিএস কর্মচারী কেন্দ্রীয় পরিষদ নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনের ঐতিহাসিক জয়
একজন সংগ্রামী নেতা থেকে বিজয়ের মঞ্চে

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্মচারী কেন্দ্রীয় পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২০২৫-এ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নজিরবিহীন জয় লাভ করেছেন মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তার বিজয় প্রমাণ করেছে কর্মচারীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত।
|আরো খবর
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩২১, যার মধ্যে ভোট পড়েছে ৩০১। বাতিল ভোট ২০টি। মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ১৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৯৫ ভোট। বিশ্লেষকদের মতে, এটি তার প্রতি কর্মচারীদের দৃঢ় সমর্থনের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
একজন সংগ্রামী নেতা থেকে বিজয়ের মঞ্চে
মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৩ নং আলগী দুর্গাপুর (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জয়দল হোসেন আখনের পুত্র। তিনি তার বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষায় তার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণেই তিনি ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।বিজয়ের পর মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, "এ জয় শুধু আমার নয়, এটি আমাদের সকল কর্মচারীর সম্মিলিত বিজয়। দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছি, সেই পরিবর্তন আনার সুযোগ এখন আমাদের সামনে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কর্মচারীদের অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও ন্যায়বিচারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।"
পরিবারের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তার বড় ভাই শরীফ হোসেন আখন বলেন,
"আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমরা চাই, তার দেখানো পথ ধরে দেশ ও দশের জন্য আমরাও কাজ করে যেতে পারি। এই বিজয় আমাদের পরিবার ও এলাকাবাসীর জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত।"শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও কর্মচারীদের উচ্ছ্বাস
নির্বাচনকে ঘিরে বিবিএস কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেন। মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনের এই ঐতিহাসিক জয় কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।ডিসিকে/এমজেডএইচ