প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:১০
নামাজ পড়তে সুযোগ দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সুরমা সুপার বাসের সুপারভাইজার জাহিদ
সময়টা ৫টা ৪৫ মিনিট। মাগরিবের আজান শেষে ইকামতের মাধ্যমে ইমাম জামায়াতে দাঁড়িয়ে যান। ততক্ষণে গাড়িতে বসে থাকা মুসল্লিদের মন ধড়ফড় ধড়ফড় করতেছে। মনে মনে কামনা করছে যদি নামাজটা পড়তে পারতাম। ঠিক তখনই কচুয়া থেকে ঢাকাগামী সুরমা সুপার বাসটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি শাহ শের আলী সিএনজি ও ফিলিং স্টেশনের মসজিদের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাসের সুপারভাইজার মো. জাহিদ হাসান ঘোষণা দেন, যারা মাগরিবের নামাজ পড়বেন, দ্রুত মসজিদে যান। নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত বাস আপনাদের জন্য অপেক্ষা করবে। নামাজের সুযোগ পেয়ে আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া আদায় করেন মুসল্লিরা। বাসের সুপারভাইজার জাহিদ হাসানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় তারা। বাসযাত্রী মো. তোফায়েল হোসেন জানান, আমাদের মাগরিবের নামাজ পড়তে সুযোগ দেয়ায় আমরা বাস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। বেশির ভাগ সময়ে বাসে উঠলে নামাজের ওয়াক্ত হলে নামাজ পড়া হয় না। কারণ বাস থামিয়ে আমাদের নামাজের সুযোগ দেয়া হয় না। আরেক যাত্রী আব্দুর রহিম জানান, প্রত্যেকটি বাস কর্তৃপক্ষ যদি নামাজের সময় হলে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে আমাদের নামাজ আর কাজা হবে না। বাসের সুপারভাইজার জাহিদ হাসান জানান, মাগরিবের নামাজের সময় যেহেতু কম, যাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে এ নামাজ পড়তে পারবেন না বলে আমরা নামাজের সুযোগ দিয়েছি। প্রতিদিনই নামাজ পড়ার সুযোগ দেই। সামান্য সময় দেরি হলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। লেখক : সাইফুল ইসলাম সুমন, গণমাধ্যমকর্মী ও নির্বাহী সম্পাদক, ক্যাম্পাস বার্তা।