শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০৯

মতলবে রংতুলির আঁচড়ে সাজছে দুর্গা

মাহবুব আলম লাভলু
মতলবে রংতুলির আঁচড়ে সাজছে দুর্গা

শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে প্রতিমা। শিল্পীদের ছোঁয়ায় প্রতিমা হয়ে উঠছে আরও জীবন্ত। তবে, এ বছর পূজার সংখ্যা কমে আসায় আয়ও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা।

পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য বলছে, এ বছর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৪টি ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩৩টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব হতে যাচ্ছে।

ধর্মীয় পঞ্জিকা মতে, আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ১২ অক্টোবর মহাদশমীর বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমন হবে দোলায় চড়ে। তিনি কৈলাশে ফিরবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে।

সরেজমিনে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায় শিল্পী ও কারিগরদের ব্যস্ততা। পৌরসভার ছেংগারচর বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঢুকতেই দেখা গেল, মণ্ডপ জুড়ে রঙের ছড়াছড়ি। নানা পাত্রে রাখা হয়েছে লাল, নীল, সাদা, কালোসহ বিভিন্ন রং। শিল্পীরা ছোট ছোট পাত্রে করে সেই রং তুলিতে করে রঙিন করে তুলছেন মাটির প্রতিমা। এবার এখানে প্রতিমা তৈরি করেছেন সত্য রঞ্জন পাল ও তার শিষ্যরা। এবারই প্রথম নিজে প্রতিমা বানিয়েছেন রাজন পাল। তার কাছে কাজটি অনেকটাই দুর্গার কৃপা লাভের। তিনি দাদা ও বাবার কাছ থেকে মায়ের প্রতিমা বানানো শিখেছি। এই প্রতিমায় পূজা হবে, ভাবতেই ভালো লাগছে।

পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, এই উপজেলায় ৩৪ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। প্রতি বছর ব্যাপক জাকজমক উৎসবের মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন করা হয়। মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ দিকে। প্রতিমার রঙের কাজ চলছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে আমরা পূজা উদযাপন করতে পারবো। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা বলেন, ‘বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দুরা সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন পরিবেশে এই উৎসব উদযাপন করে আসছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপগুলো নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশসহ সব বাহিনী এতে সহায়তা করবে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ রবিউল হক বলেন, শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। মতলব উত্তর থানা এলাকায় ৩৪টি মণ্ডপ রয়েছে। মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। যে কোনো সহিংসতা মোকাবিলাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়