রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৮

জুতাকে বালিশ বানিয়ে দুবাইতে রাত কাটাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা

শরীফুল ইসলাম, দুবাই প্রতিনিধি
জুতাকে বালিশ বানিয়ে দুবাইতে রাত কাটাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা

দালালের খপ্পরে পড়ে দুবাইতে খেজুর পার্কে রাত কাটাতে দেখা গেছে বহু বাংলাদেশী দুবাই প্রবাসীকে। গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১৭ নভেম্বর রাত প্রায় ৩টার দিকে দুবাই সিটির আল মতিনা খেজুর পার্কে এইসব অসহায় প্রবাসীদের দেশ থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা লাগেজ এবং ব্যাগসহ খোলা আকাশের নীচে ঘুমাতে দেখা গেছে। বালিশ হিসেবে ব্যবহার করছে দেশ থেকে আনা ব্যাগ কিম্বা নিজ পায়ের জুতা জোড়া।

ঐ এলাকার বাংলাদেশী দুবাই প্রবাসী কজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুবাইতে কাজ দেয়ার কথা বলে বাংলাদেশী দালালরা এই প্রবাসীদের দুবাইতে এনেছেন। বাংলাদেশ থেকে বিমানে উঠার পর থেকে আর কোন খোঁজ খবর রাখেন না দালালরা। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে দালালের খপ্পরে পড়া এইসব প্রবাসীরা দুবাইয়ের বিভিন্ন পার্কে অবস্থান নেন। কিছু কিছু বাংলাদেশী দুবাই প্রবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, দালালরা ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে লোকজন আনেন দুবাইতে ভিসা করে দিয়ে চাকুরির দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিমানে উঠার পর থেকে আর কোন যোগাযোগ রাখেন না। তাই দুবাইতে এসে থাকার রুম,চাকুরী, খাবার কোন কিছুই মিলে না এইসব প্রবাসীর।

জানা গেছে, এইসব অসহায় প্রবাসীদের কোন খবর রাখেনি কেউ। দুতাবাসের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ নাই এইসব প্রবাসীদের জন্য। অচেনা শহরে দিনে কাজ নাই,রাতে ঘুম নাই, পেটে ভাত নাই,প রিবার পরিজনের কোন খুঁজ খবর নাইভ এমতাবস্থায় একজন প্রবাসী কতটা অসহায় একমাত্র ওই প্রবাসীই জানেন। একদিকে এইসব প্রবাসীরা প্রবাসে এসে নিজেরা মহা বিপদের সম্মুখীন অন্য দিকে প্রবাসীর পরিবারের অসহায়ত্ত কেউ দেখার থাকে না। অনেক প্রবাসী বিদেশে কাজের আশায় দেশ থেকে অনেক এনজিও কিম্বা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রবাসে যায়। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায়, মানুষ এইসব দালালদের জন্য কত অসহায়, কত পরিবার বিপদগ্রস্থ হচ্ছে। জীবন জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন ফেলে সুদূর প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশ হচ্ছে প্রবাসীদের রক্ত পানি করা উপার্জনের অর্থ। এই প্রবাসীদের উপার্জনের অর্থের কারনেই এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো মুটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশে না আসলে দেশ শ্রীলংকার মতো দেউলিয়া ঘোষণা করতে হতো অনেক আগে। তাছাড়া বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে তো প্রবাসীদের মালামাল চুরিসহ অনেক হয়রানির খবর মাঝে মধ্যেই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়।

এমতাবস্থায়, সুশীল সমাজের উক্তি, আর কতবার প্রবাসীদের কস্টের কথা খবরের কাগজে ছাপা হলে কিম্বা টিভির পর্দায় দেখালে সরকার দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন? আর কত পরিবার ধ্বংস হলে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোর চোখ খুলবে?

এমন অবস্থা চলতে থাকলে একটা সময় বিন দেশে শ্রম বিক্রি করে রেমিট্যান্স দেশে আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।তাই সরকারের উচিত, যতদ্রুত সম্ভব এর সঠিক সমাধান বের করা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়