রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১১:৪৬

হাজীগঞ্জসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদযাপন

কামরুজ্জামান টুটুল
হাজীগঞ্জসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদযাপন

দেশের আগাম ঈদের প্রবক্তা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফসহ উক্ত দরবারের অনুসারীগণ ১ মে রোববার ঈদুল ফিতর পালন করছে। বিশ্বের যে কোন স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ পালিত হবে বলে দাবী করেন সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীগণ। জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা সমেশপুর, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, প্রতাপপুর, রামচন্দ্রপুর, বলাখাল, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘড়িহানা, মুন্সীরহাট, চান্দ্রাসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

১ মে রোববার সকাল ১০টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে। এ ছাড়া একই অনুসারীগনের মধ্যে পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী ও বরিশালের কিছু এলাকায় পালিত হচ্ছে বলে দাবী করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর আরিফ চৌধুরী।

জানা যায়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে, নাইজের,মালি,আফগানিস্থানে চাঁদ দেখা য়াওয়া সাপেক্ষে আজ রোববার ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদ করছি। আমরা নির্ধারিত কোনো দেশকে ফলো করি না। আরব বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা বিশ্বাসযোগ্য হলে আমরা রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করি। যদি সেটি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য মনে হয়। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন সদ্রা দরবার পীর আল্লামা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

উল্লেখ্য, বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর চাঁদপুর জেলার তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে আসছে। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

এছাড়াও চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার উপর মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়