প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ১৯:৪০
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি
সারা দেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক হওয়া ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান।
|আরো খবর
দীপু মনি বলেন, ঢাকা শহরে জীবন-জীবিকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল এ রূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন। যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।