প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৪০
পরীক্ষার হলে শিক্ষকের রূঢ় আচরণের শিকার শিক্ষার্থীরা
ইউএনওর কাছে অভিযোগ

চলমান ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার কক্ষ পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শিকারের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ফরিদগঞ্জ কালিরবাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম এমন অভিযোগ করে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যদিও শিক্ষক ইমাম হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছেন, এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি কেনো তাদের সাথে এই আচরণ করবেন!
|আরো খবর
পরীক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম (রোল নং- ৩৬৮২২৮) জানান, তারা ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। ২১ এপ্রিল গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। তাদের কক্ষে পর্যবেক্ষক হিসেবে খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন ছিলেন। এমসিকিউ পরীক্ষার ২০ মিনিটের সময় ওই শিক্ষক তার প্রশ্ন পরিবর্তন করে অন্য একটি সেট দেন। তার অনুরোধও তিনি কর্ণপাত করেননি। এমনকি তার স্বাক্ষর লিপিতে তার স্বাক্ষরও নেননি। তিনি নিজে দিয়ে দিয়েছেন। এমনকি ওই হলের অন্য এক ছাত্রকে মারধর করেন এবং সকলকে গালমন্দ করেন। তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে সে সহ ওই হলের শিক্ষার্থীরা সেদিন ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে নি।
ওই হলে পরীক্ষা দেয়া অন্য পরীক্ষার্থীরাও একই কথা জানান। তারা জানান, ওই শিক্ষক কেনো এই আচরণ করেছেন, তা তারা জানেন না। কিন্তু তাদের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
জাহিদুল ইসলামের বাবা সামছুল ইসলাম জানান, ওই শিক্ষকের কারণে তার ছেলেসহ ওই হলের শিক্ষার্থীদের জীবন শেষ হয়ে গেলো। আমরা সঠিক তদন্ত চাই।
কালিরবাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ২০২৫) জেনেছেন। পরে বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করেন।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাছিনা আক্তার জানান, যদি এমনটি ঘটে থাকে, তাহলে তা দুঃখজনক। তবে আমিও এ বিষয়টি আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) জানলাম। শিক্ষার্থী বা শিক্ষক কেউই কিছুই আমাকে জানান নি।
খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়, ভিত্তিহীন। ওই শিক্ষার্থী বা স্কুলের সাথে তার কোনো সমস্যা নেই। হলে পরীক্ষা চলাকালে জাহিদুল ইসলামকে কিছুটা ছটফট করতে দেখা গেছে। এমসিকিউ উত্তরপত্র উঠানোর সময় সে বারবার সময় প্রার্থনা করেছিল। সে মাত্র কয়েকটি উত্তর দিয়েছে বলে ওই সময় বলেছিল। কিন্তু আমি তো নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। এছাড়া আমি অন্য কোনো শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ আচরণ বা মারধর করিনি।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান, বিষয়টি তদন্তপূবর্ক ব্যবস্থা নেয়া হবে।