প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫৭
হাজীগঞ্জে কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে ইঞ্জি. মমিনুলের র্যালি

হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে কয়েক কিলোমিটার সড়কজুড়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার বিএনপির সমন্বয়ক লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে অনুষ্ঠিত র্যালিতে স্মরণকালের জনসমাবেশ ঘটায় হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
|আরো খবর
বেলা তিনটা থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার সকল ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জড়ো হতে শুরু করে। বেলা ৪টার দিকে নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে ব্যানার, ফেস্টুন ও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার অভিমুখে রওনা দেয়। কয়েক কিলোমটারজুড়ে র্যালিটি হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এসে শেষ হয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, শহীদ জিয়ার গড়া দল বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে টিকে আছে। শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। এজন্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি জনগণের অনুভূতি নিয়ে সবসময় কাজ করে। বাংলার জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী তরুণ প্রজন্মের ভোটার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে ধানের শীষকে ভোট দিবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা নাকি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তাদের মুখে আর গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিগত ১৬ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। এর ফল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সে কারণে আজ দেশে সঠিক গণতন্ত্র ফিরে এসেছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল পরীক্ষিত জনগণের বন্ধু। আগামীদিনে তাই আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে সরকার পরিচালনা করতে চাই। আমি আমার দলের কিছু লোভী রাজনৈতিক নেতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজ, জুলুমবাজ হিসেবে যারা রয়েছেন তারা রাজনীতি ছেড়ে দেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মধ্যে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি চলবে না। আজকের এ বিশাল মিছিল চলাকালে যানবাহন, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হলো, তার জন্যে আমি আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীদিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাথে থেকে সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মিছিলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ পৌরসভার সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।