শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

অফিসবয় সুমন সরকার জয়ের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদক কর্মকর্তার নির্দেশ

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
অফিসবয় সুমন সরকার জয়ের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদক কর্মকর্তার নির্দেশ

চাঁদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিসবয় সুমন সরকার জয়ের সম্পদের অনুসন্ধান করতে চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন দুদকের প্রতিরোধ বিভাগের মহাপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনিত প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়ে নির্বাহী তদন্তপূর্বক জেলা পুলিশ বিভাগকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

চাঁদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন-এর গণশুনানিতে অফিসবয় থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া সুমন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে অভিযোগকারী জাতীয় সাঁতারু বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানাউল্যা খান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক দেওয়ান অভিযোগ উত্থাপনপূর্বক সুমন সরকার জয়কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন অফিসবয় উল্লেখ করে বলেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে না। কিন্তু সুমন সরকার জয় সংসদের নাম করে নতুনবাজার এলাকায় নিজে একটি অফিস বানিয়ে সেখান থেকে সংসদের অফিস পরিচালনা করছে। শুধু তাই নয়, সুমন সরকার জয় বিভিন্নভাবে অনেককে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাইয়ে দিয়েছে। এতে সে এক একটি সার্টিফিকেটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। বিগত কয়েক মাস পূর্বে এই সুমন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় তার অঢেল সম্পদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। অভিযোগকারীরা প্রকাশিত সংবাদের কপি দুদক কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।

অভিযোগ শুনে দুদকের প্রতিরোধ বিভাগের মহাপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন তার রায়ে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমরা জ্ঞাত হলাম। যেহেতু অভিযোগে প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয় আছে, সেহেতু পুলিশ সুপার সাহেব এ বিষয়ে আপনাদের মতো করে একটি নির্বাহী তদন্ত করে আমাদেরকে সেই তদন্তের একটি প্রতিবেদন দেবেন। আর এখানে কিছু সম্পদ-সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের এখানে যে জেলা অফিস রয়েছে সেই অফিসের মাধ্যমে তার সম্পদের খোঁজখবর নিয়ে আমাদের নিকট একটি প্রতিবেদন দিবেন।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

উল্লেখ্য, গণশুনানিতে সুমন সরকার জয়ের অনুপস্থিতিতেই দুদক কর্মকর্তা এ রায় ঘোষণা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়