প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:২৯
চাঁদপুর পিবিআই কর্তৃক মানবপাচার মামলার দুই আসামী গ্রেফতার
চাঁদপুরের কচুয়ার ইব্রাহিম ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম এর দায়ের করা মানব পাচার মামলার আসামী রাকিব হোসেন (২৯) ও মো. মিথুন মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর।
|আরো খবর
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ।
এর আগে ২৪ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সকাল পর্যন্ত দুই দিন পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ পরিদশর্ক এম শামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেনসহ একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জ জেলা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করেন।
পিবিআই পুলিশ জানায়, কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়ন এর শফিবাদ গ্রামের ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আ. হাকিমকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা লিবিয়া নিয়া মুক্তিপণের জন্য অপহরণ পূর্বক আটক করে রেখেছে মর্মে রোজিনা বেগম চাঁদপুর মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই মামলাটি তদন্তকালে জানতে পারেন, এজাহার নামীয় ১নম্বর আসামী শফিবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও ইতালি প্রবাসী খোরশেদ আলম বাদীনির স্বামী ভিকটিম ইব্রাহিম ফকির ও প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম, ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে অধিক বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধার মিথ্যা আশ্বাস দিয়া ইতালী নেওয়ার কথা বলে অবৈধ পথে লিবিয়া নেন। সেখানে খোরশেদ আলমের জামাতা গ্রেফতার ২ নম্বর আসামী রাকিব হোসেন এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি ভবনের ফ্ল্যাটে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমদেরকে লিবিয়ার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা অপহরণ পূর্বক অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখেন। অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা বিবাদীদের মাধ্যমে ভিকটিমদেরকে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে। অন্যথায় ভিকটিমদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিতে থাকে। পরে ভিকটিমদের পরিবার বিবাদীদের দেওয়া ব্যাংক হিসাবে সাড়ে ৫ লাখ টাকা প্রেরণ করে।
ভিকটিম ইব্রাহিম মোল্লা ও কবির হোসেনকে মুক্তি দিলেও ভিকটিম ইব্রাহিম ফকিরকে অবশিষ্ট টাকার জন্য মুক্তি না দিয়া আটক করে রাখে। একপর্যায়ে ভিকটিম ইব্রাহিম ফকির গত ১৮ জানুয়ারি অপহরণকারীদের হাতে আটক অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণ করে।
এই ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে কচুয়া থানায় মামলা রুজু হলে মামলাটি পিবিআই গ্রহণ পূর্বক তদন্তভার এসআই মো. ফারুক হোসেন এর উপর হাওলা করে।