প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৩
স্ত্রী মারা যাবার ঘটনার মামলায় পলাতক স্বামী ১৬ মাস পর গ্রেফতার
।।পরকীয়া ও অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি পলাতক স্বামী শুকুর মিয়াকে ১৬ মাস পর আটক করেছে পুলিশ।
|আরো খবর
স্ত্রীকে রেখে একে একে পাঁচটি বিয়ে করার ঘটনা ও মাদক ব্যবসা করতে বাধা দেওয়ায় লিপি বেগম নামে এক হতভাগা নারীকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে।
এই ঘটনা নিহতের ভাই মামুন খান বাদী হয়ে স্বামী শুকুর মিয়া, শরিফ খা, সুফিয়া বেগম সহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত করেন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এর সাব ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম।
সেই মামলায় মূল অপরাধী শুকুর মিয়াকে রেখে বাকি দুইজনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করে পিবিআই।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী শুকুর মিয়াকে বাদীর লোকজন রঘুনাথপুর তিন তাল গাছতলা এলাকা থেকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আটক শুকুর মিয়া বহরিয়া সুরুজ গেট খান বাড়ি রহিম খানের ছেলে।
২০২৩ সালের মে মাসের ১৭ তারিখ দুপুরে রঘুনাথপুর তিন তাল গাছ তলা লতিফ খানের মাদ্রাসা পাশে নিজ বাড়িতে স্ত্রী লিপি বেগমকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
মৃত্যুর পূর্বে লিপি বেগম পরকীয়া ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় স্বামী শুকুর তাকে বেদম মারধর করে।
সে সময় লিপি বেগম তার মোবাইলে ভিডিও বার্তায় নির্যাতন ও স্বামীর মাদক ব্যবসায় অপকর্মের ঘটনা তুলে ধরেন।
এই ঘটনায় মামলা না করতে বাদি পক্ষকে হুমকি-ধমকি দেয়।
মামলার বাদী মামুন জানায়, পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে একে একে শুকুর পাঁচটি বিয়ে করেছে। এর পূর্বে এক আইনজীবী সহকারীর মেয়েকে বিয়ে করে ছেড়ে দেওয়ার সেই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে ১৫ বছরের সাজা হয়। টাকার বিনিময় সে বেরিয়ে এসে আবারো অপকর্ম করতে থাকে। তার এই সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তার হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিপি বেগম দুনিয়া থেকে চলে যায়।