শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠ ও জীবনের প্রাপ্তি

সাইফুল আজম
চাঁদপুর কণ্ঠ ও জীবনের প্রাপ্তি

সময়টা ছিলো ২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল। চাঁদপুর জেলা সদর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকা ‘আলোকিত চাঁদপুর’, যাতে সাংবাদিক হিসেবে হয় আমার আত্মপ্রকাশ। সেদিন ছিলো পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের শুরুতে চাঁদপুর ক্লাবে আনন্দঘন পরিবেশে নূতন পত্রিকাটির সাথে আমার সাংবাদিকতার সূচনা মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। তখন আমি ছিলাম এই অঙ্গনে নব্য ভূমিষ্ঠ একজন শিশুর মতো। সাংবাদিকতার কোনো ধারণাই ছিল না। তবে মনের মধ্যে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ছিলো আর ছিলো নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস। ঠিক ওইদিনই পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহ করার জন্যে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের চীফ ফটোগ্রাফার বিমল চৌধুরী তার দায়িত্বপালন করতে যান। তখন তার সাথে আমার পরিচয়। সে দিনের সেই পরিচয়ের পর থেকে অদ্যাবধি তার সাথে আমার সুসম্পর্ক টিকে আছে। কোনোদিনও তার সাথে আমার মতানৈক্য বা বাগ্বিতণ্ডার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্দ্বিধায় বলতেই হবে, এই সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা, সেটা সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে হোক অথবা ছবি তোলার ক্ষেত্রে হোক, মোটামুটিভাবে নির্দ্বিধায় বিমল চৌধুরীর কাছ থেকে আমার শেখা। যেমন কোন্টা সংবাদ হতে পারে বা কোন্টা ছবির বিষয় হতে পারে। এমনিতে চাঁদপুরে সরকারি কোনো অনুষ্ঠান অথবা কোনো সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংবাদ কভারেজ করতে তার সঙ্গে একত্রে যেতাম। তখন কোন্ প্রোগ্রামের ছবিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা কোন্ ধরনের ছবি পত্রিকায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হবে সেসব বিষয়ের প্রাথমিক ধারণাগুলো তার কাছ থেকে শিখেছি।

শুরু থেকেই সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে তথ্যের চেয়ে ছবি তুলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। সব সময় খুব বেশি চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকতো যে, এমন কিছু ছবি তোলা যা কিনা পরদিন পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় খুব বড়ো করে ছাপবে এবং সেই ছবির ক্যাপশনের নিচে ফটোক্রেডিটে আমার নাম লেখা থাকবে। সেটা দেখেই মনের মধ্যে একটা পুলকিতভাব অনুভব করতাম। তবে যে বিষয়টি খুব বাধ সাধতো সেটি হচ্ছে ফটোফিল্মের ক্যামেরায় ছবি তোলা, যা একটু ব্যয়বহুলই ছিলো। কিন্তু সে বিষয়টাও দীর্ঘায়িত হলো না। মাস ছয়েক এভাবে কাজ করার পর হঠাৎ একদিন আমার শ্রদ্ধেয় বড়োভাই আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক আলম পলাশ আমাকে একটা জিডিটাল ক্যামেরার সন্ধান দেন। আমিও আর দেরি না করে সাথে সাথে সেটা ৬হাজার টাকা মূল্যে কিনে ফেলি। আর সেটাই ছিলো চাঁদপুরে তখনকার সময়ে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরায় ফটোগ্রাফি।

এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় ছবি তোলার প্রতি নেশা এবং সে থেকেই চাঁদপুর জেলার প্রতিটা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়ানো এবং ফটোগ্রাফি করা। এভাবে বছর দুয়েক চলার পর কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রবল ইচ্ছা পোষণ করতাম চাঁদপুর জেলার সাংবাদিকদের বৃহৎ প্লাটফর্ম চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার। মহান আল্লাহর রহমতে আমার সেই ইচ্ছা পূরণেও বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। আলম পলাশ ভাই আমার ছবি তোলার প্রতি আগ্রহ এবং ছবির সৌন্দর্য দেখে তখন তিনি বাংলাদেশের দুটি নিবন্ধিত অনলাইন ফটো এজেন্সি ‘ফোকাস বাংলা’ ও ‘বাংলার চোখে’র মধ্যে আমাকে ‘বাংলার চোখে’ কাজ করার পরামর্শ দেন। আমিও কোনো কিছু চিন্তা না করে এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। আর এই একটা সিদ্ধান্তে আমার জীবনের দুটি পথ প্রশস্ত হয়ে যায়।

তৎকালীন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার এবং সেক্রেটারী ছিলেন ইকরাম চৌধুরী (বর্তমানে মরহুম)। তাঁদের বরাবর সদস্যপদ প্রাপ্তির আবেদন করি এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ২০০৬ সালে আমি চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ লাভ করি। ফটো এজেন্সিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই কর্মব্যস্ততা আরো বেড়ে যায় কীভাবে এক্সক্লুসিভ ছবি তোলা যায় সে চিন্তার কারণে। কতো সুন্দর করে ছবি তুলে ঢাকা পাঠানো যায় এবং পরদিন কোনো জাতীয় পত্রিকায় আমার পাঠানো সেই ছবি ছাপা হয়েছে কিনা সেটি দেখা যায়- এমন ভাবনায় থাকতো এক মানসিক উত্তেজনা। আমার সেই এজেন্সিতে কাজ করে অনেক প্রাপ্তি ছিলো। যেমন- মতলব উত্তরের মোহনপুরে বালুর ট্রলার ডুবিতে ২৫ জনের লাশের ছবি দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতায় লীড ছবি হিসেবে ছাপানো হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরে’ ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুরের ছবিগুলো দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় অ্যালবাম আকারে ছাপানো হয়। এমন আরো অনেক কিছু, যা এখন মনে পড়ছে না।

২০০৪ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তীতে দৈনিক ইলশেপাড়, চাঁদপুর প্রতিদিন ও আমার চাঁদপুর পত্রিকায় কাজ করি। ২০১২ সালে ‘আমার চাঁদপুর’ পত্রিকায় কাজ করাবস্থায় হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি হয়ে হার্টে রিং স্থাপন করি। এরপর কাজের ওপর একটা ধীরগতি চলে আসে। বলতে গেলে এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়েই দেই। এভাবে প্রায় বছরখানেক চলে যায়। এর মধ্যে অনেকেই তাদের পত্রিকায় কাজ করার প্রস্তাবও করেন, কিন্তু রাজি হইনি। তবে কিছুদিন চাঁদপুরজমিন পত্রিকায় সময় দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাতে ক্ষান্ত হই।

চাঁদপুর কণ্ঠে যোগদান ও জীবনের মোড় পরিবর্তন

আমি প্রথম যখন সাংবাদিকতায় আসি, তখন প্রায়ই একটা কথা সহকর্মীদের সাথে বলতাম যে, প্রয়োজনে সাংবাদিকতা ছেড়ে দিবো কিন্তু চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করবো না। প্রথম প্রথম আমার এই কথাটার অর্থ অনেকেই বুঝতে পারতো না। আমার এই কথাটা বলার পেছনে মূল কারণ ছিলেন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। এই মানুষটিকে যখন থেকে আমি চিনি, তখন আমার বয়স ছিলো বড়োজোর ৮ বছর। আমি তখন ক্লাস টুতে আল-আমিন একাডেমিতে পড়ি। সেই সময় আমাদের বাসায় একজন স্যার আমাদেরকে পড়াতেন। তিনি সেই স্যারের খুব ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু ছিলেন এবং প্রায়শই সেই স্যারের সাথে আমাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে শিক্ষক-ভীতিটা ভীষণভাবে কাজ করতো। তবে সেটা ছিলো শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি ও সম্মানের। যেহেতু তিনি স্যারের বন্ধু ছিলেন, সেই সুবাদে সেই ছোটবেলা থেকে তাঁকে একই দৃষ্টিতে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান করতাম। আর এ কারণেই তাঁর প্রতি ছোটবেলার সেই শিক্ষক-ভীতিটাই কাজ করতো, যার জন্যে আমি এই কথাটা বলতাম। কিন্তু আবার সেই আমিই একটা সময় পর এসে বললাম, জীবনে যদি আবার সাংবাদিকতা করি তাহলে সেটা চাঁদপুর কণ্ঠেই করবো। সেটারও একটা কারণ ছিলো এবং তা হলো--যেহেতু তাঁকে (কাজী শাহাদাত)কে ছোটবেলা থেকে চেনা, সেহেতু তাঁর সাংবাদিকতার ধরণ, চলাফেরা সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করতো। একটা সময় পর এসে তো তাঁকে আমার আদর্শ হিসেবে মনে করতাম। এক পর্যায়ে মনস্থির করে ফেললাম যে, চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করবো। কিন্তু আমি যে কাজ করবো আমার এই প্রস্তাবটা আমি কীভাবে তাঁর কাছে পৌঁছাবো। চিন্তা করলাম, কাকে দিয়ে প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হবেন। অনেক ভাবনার পর আমার দোস্ত (বাল্যবন্ধু) চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহর কথা মাথায় আসে। সেমতে আহসানের সাথে আলোচনা করি এবং এক পর্যায়ে সে কাজী শাহাদাত ভাইয়ের সামনে আমার কাজ করার ইচ্ছে পেশ করেন। তিনি আমার কথা শুনে আহসানকে দিয়ে আমাকে তাঁর অফিসে দেখা করার কথা বলেন। আমি এ কথা শোনার পর দেরি না করে পরের দিন দুপুরেই কাজী শাহাদাতের সাথে দেখা করতে যাই। মনের মধ্যে সেই ছোটবেলার মতোই একজন শিক্ষকের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর ভীতি কাজ করছিলো। ছোটবেলায় স্কুলে যখন কোনো কারণে প্রিন্সিপাল স্যারের কক্ষে যেতে হতো, তখন মনের মধ্যে যে ভয়টা কাজ করতো তখনো আমার মনে ছিলো সেই একই ভয়। আমি সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে একটা পর্যায়ে তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। এরপর বিভিন্ন কথা বলার মধ্য দিয়ে কখন যে দুটি ঘন্টা পার হয়ে গেলো টেরই পাইনি। তবে তাঁর সাথে আমার ওই দিনের শেষ কথা ছিলো, তোমাকে পরীক্ষা দিতে হবে। আমি দেখবো। চাঁদপুরের সবাই তোমাকে সেরা ফটোগ্রাফার বলে কীভাবে সেটা পরীক্ষা করে দেখার পর চিন্তা করবো তোমাকে চাঁদপুর কণ্ঠে নেয়া যায় কিনা। আমি বাধ্য ছাত্রের মতো ‘জি¦ আচ্ছা’ বলে চলে আসলাম।

কিছুদিন পরে তিনি আমাকে ফোন করে অফিসে দেখা করতে বললেন। আমি দেরি না করে ওইদিনই অথবা পরদিন তাঁর অফিসে দেখা করতে গেলাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, যাওয়ার পর তিনি ৩৫/৩৬টা সাবজেক্টের একটা লম্বা তালিকা আমার হাতে ধরিয়ে দেন এবং বলেন, কীভাবে করবা না করবা আমি জানি না। আমার এসব বিষয়ের ছবিগুলো লাগবে। যত শিঘ্র সম্ভব ছবিগুলো তুলে অফিসে জমা দিবে। এসব ছবি যদি সুন্দর না হয় তাহলে চাকরি ক্যান্সেল। তখনো কিন্তু আমি জানতাম না চাঁদপুরকে ব্র্যান্ডিং জেলা করার কাজ চলছে। আর সেটা তিনিও আমাকে বুঝতে দেন নি। তবে একজন শিক্ষকের যেমন তার ক্লাসের একটা ছাত্রের ওপর বিশ্বাস থাকে যে, এই ছেলেটা পরীক্ষায় পাস করবে বা ভালো রেজাল্ট করবে, ঠিক তেমনি তাঁরও আমার ওপর সেই ভরসা বা বিশ্বাসটুকু ছিলো। সেটা বোঝারও একটা কারণ ছিলো। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় যে, চাঁদপুরকে ব্র্যান্ডিং করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্র্যান্ডিং বুক প্রকাশ করার সভা হয়। সভার এক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং বুকের ছবি তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয় ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে ভালো ফটোগ্রাফার আনার কথা বলেন। এক পর্যায়ে কাজী শাহাদাত ভাই তখন আমার কথা প্রস্তাব করেন এবং বলেন, আমার জানাশোনা চাঁদপুরে একটা ছেলে আছে যে কিনা মোটামুটি ভালো ফটোগ্রাফি করে এবং তার ভালো ক্যামেরাও আছে। তখন শাহাদাত ভাইয়ের প্রস্তাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ অন্যরা রাজি হয়ে যান। সেই ব্র্যান্ডিং বুকের মধ্যে যেই ছবিগুলো স্থান পাবে আমাকে দেয়া তালিকায় সেগুলোই ছিলো। তালিকা হাতে পেয়ে কিছুটা ভয় ছিলো মনে। তবে আমাকে নিয়ে জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ে তাঁর এভাবে কথা বলাটা আমার মনের মধ্যে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। যার কারণে জেলার ৮টি উপজেলায় ব্র্যান্ডিং বুকের ছবি তুলতে আমার আগ্রহের তিল পরিমাণও ঘাটতি ছিলো না। কোনো ছবিই দ্বিতীয়বার আর তোলার প্রয়োজন পড়েনি। আজকে ব্র্যান্ডিং বইয়ে স্থান পাওয়া ছবিগুলো তার প্রমাণ এবং এরই প্রেক্ষিতে চাঁদপুর জেলার ব্র্যান্ডিংয়ের ইতিহাসে ওই বইয়ের প্রিন্টার্স লাইনে আমার নাম প্রধান আলোকচিত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছে। তাছাড়া এই চাঁদপুর কণ্ঠে যোগদানের পর এমন আরো অনেক কিছু ছিলো, যা ফটো সাংবাদিকতা জীবনে আমার প্রাপ্তি এবং পূর্বে কখনো ঘটেনি। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে আজীবন ‘কাজী শাহাদাত’-এর নাম ও চাঁদপুর কণ্ঠকে স্মরণ করে যাবো।

আসলে এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ তাঁদের কাজের জন্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন। আমার মতে কাজী শাহাদাত নামটিও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

লেখক : বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়