প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
আমার সাংবাদিকতার ইতিকথা এবং...
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিকতার একটি উর্বর ভূমি। এই কথা আমার নয়, উপজেলায় চাকুরিসূত্রে কাজ করে গেছেন, সমাজের গুণীজনসহ অনেক মানুষেরই মুখ থেকে শোনা। সাংবাদিকতায় শুধু ফরিদগঞ্জ নয়, পুরো চাঁদপুর জেলাই সমৃদ্ধ। স্থানীয় পত্রিকাগুলো সমাজ সচেতন করতে এবং সমাজে ভালো কাজে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর বড়ো উদহারণ জেলার প্রথম দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। নিয়মিত পত্রিকা বের করার সাথে সাথে পত্রিকাটি প্রতিদিন তৃতীয় পাতায় বিষয়ভিত্তিক পাতা বের করছে। এর বাইরে পুরো জেলাব্যাপী দেড় দশক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আমি সংবাদপত্রে জড়িত হই ১৯৮৬ সালে সাপ্তাহিক চাঁদপুর পত্রিকার মাধ্যমে। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তখন সম্ভবত ব্যক্তি হিসেবে আমি প্রথম এই জগতে পা দিয়েছি। সাপ্তাহিক চাঁদপুরে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করার পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাচার পত্রিকায় ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করে এই পর্যন্ত কর্মরত রয়েছি। সাংবাদিকতার জগতে আমার বিচরণ ৩৯ বছরে গিয়ে পড়েছে।
১৯৯২ সালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের যাত্রা শুরু হয় আমার এবং ফরিদ আহমেদ রিপনের হাত ধরে। আজ যা উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের নির্ভরতার স্থল। প্রেসক্লাবে ইতিপূর্বে তিন বারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলতি সেশনেও নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতির গুরু দায়িত্ব আমার হাতে অর্পণ করেছে সংবাদকর্মীরা। সংবাদকর্মী হিসেবে যেমন সমাজ সংস্কারে কাজ করেছি, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলেছি, তেমনি সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধতায় নিয়ে এসেছি এবং সংগঠনের উন্নয়নে শ্রম দিয়েছি। আজ আমি এই কথা সগৌরবে বলতে চাই, জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সর্বত্র সমাদৃত। এই প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য শিক্ষিত, মার্জিত এবং ভদ্র বলে সমাজে পরিচিতি পেয়েছে। সংগঠনের উন্নয়নের স্বার্থে আমি আগামী দিনগুলোতে যে কোনো বৃহৎ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে প্রথম থেকেই ছিলাম। এক পর্যায়ে পত্রিকার সাথে জড়িত হয়ে যাই। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সংবাদকর্মীদের প্রতি আন্তরিকতার কোনো কমতি আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। পত্রিকার প্রাণপুরুষ কাজী শাহাদাত নিজের সকল সম্ভাবনাকে বিসর্জন দিয়ে শুধু চাঁদপুর কণ্ঠ নিয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত পড়ে রয়েছেন বিধায় পত্রিকাটি জেলার গণ্ডি পেরিয়েও সর্বত্র সমাদৃত। সকল দিক দিয়েই জেলার প্রথম এবং সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের প্রণোদনায় ভবিষ্যতে কাজী শাহাদাত ভাইয়ের নেতৃত্বে চাঁদপুর কণ্ঠ চাঁদপুরবাসীর সুখ-দুঃখ প্রকাশে এবং জনগণের দুর্দশা লাঘবে আরো ভালো ভালো লেখনির মাধ্যমে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি। এই ক্ষেত্রে আমরা যারা এর সাথে জড়িত তারা সার্বিক সহযোগিতা করবো।
লেখক : সভাপতি, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব; ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ ও দৈনিক ইনকিলাব।