শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে আছি ২২ বছর

আলমগীর কবির
চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে আছি ২২ বছর

সংবাদপত্রের অনুরাগী হিসেবে চাঁদপুরে লেখাপড়ার সুবাদে চাঁদপুর কণ্ঠ প্রথমে সাপ্তাহিক থাকাবস্থায় রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের অফিসে আমার যাতায়াত ছিল প্রায়শই। পত্রিকাটি দৈনিকে রূপান্তরিত হওয়া পর্যন্ত পাঠক ছিলাম। লেখাপড়ার পাশাপাশি জেলার অন্য একটি পত্রিকায় আমার সাংবাদিকতা শুরু হয়। যদিও অন্য পত্রিকায় কর্মরত ছিলাম, কিন্তু চাঁদপুর কণ্ঠের নিয়মিত পাঠক ছিলাম। সেই থেকে চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার ইচ্ছা তৈরি হয়। ২০০৩ সালে প্রথমে চাঁদপুর কণ্ঠে হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও সংবাদদাতা হিসেবে যোগদান করি। পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ উত্তর অঞ্চল ও বর্তমানে হাজীগঞ্জ উপজেলার নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে আছি। দীর্ঘদিন ধরে অবিরামভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নির্ভুল বানানে পরিপাটি পরিচ্ছন্ন করে যারা পাঠকের হাতে তুলে দিতে চাঁদপুর কণ্ঠকে প্রকাশের আলোয় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমার দৃষ্টিতে সুদক্ষ এবং আপসহীন সম্পাদনায় পাঠক মহলে পত্রিকাটিকে জনপ্রিয় করতে যৌবনকাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা বিলিয়ে দিচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন জেলার অনেক সাংবাদিকের গুরু, পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা, সালাম ও শুভেচ্ছা।

চাঁদপুর জেলা সদর থেকে আমার বাড়ি প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। একসময় আমি এলাকার ও উপজেলার টুকিটাকি খবর নিয়ে রাজারগাঁও থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে (সময়মত যানবাহন না পেয়ে কখনো পায়ে হেঁটে) মহামায়া বাজার যেতাম এবং তারপর বাসে করে চাঁদপুর যেতাম। সে যাতায়াত যে কতো বিড়ম্বনার ছিলো তা আজ বলে বোঝানো যাবে না। সময় নষ্টের পাশাপাশি যানবাহনের ভাড়া, নাস্তা খরচসহ সাথে অন্যান্য খরচের মোটা অংকের টাকা খরচ হওয়ার পরেও কেন জানি এক অন্যরকম আকর্ষণ ছিল চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার মধ্যে। মাঝখানে ২০১১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে গেলেও সাড়ে চার মাস পর দেশে চলে এসে আবার চাঁদপুর কণ্ঠে যোগ দেই। চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার সুবাদে অনেক শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক ও অন্যান্য পেশার লোকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। একদিকে সাংবাদিক অন্যদিকে সংবাদ আর সংবাদপত্র সব মিলিয়ে সে এক ভিন্ন অনুভূতি। সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় অন্য সংবাদপত্রে সম্মানজনক অবস্থানে যাওয়ার সুযোগকে উপেক্ষা করে প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও কণ্ঠ পরিবারের অনুপ্রেরণায় তাদের সাথে দীর্ঘদিন জড়িয়ে আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করে অর্জন : হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবে পর পর দুবার ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। বর্তমান কার্যকরী সদস্য। হাজীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমানে কার্যকরী সদস্য। হাজীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সাবেক সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে সক্ষম হয়েছি।

চাঁদপুরে অনেক দৈনিক পত্রিকা অতি দ্রুত সময়ে ডিক্লারেশন লাভে সমর্থ হয় এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন অফিস খোলে এক রকম প্রতিযোগিতা দিয়েও চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে পেরে উঠে নি। তার একমাত্র কারণ, কণ্ঠ পরিবারে আছেন শত শত সাংবাদিক তৈরির কারিগর দক্ষ প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত এবং বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সৃজনশীল দক্ষ প্রতিনিধি।

শেষ প্রত্যাশা : শত বছর উদযাপন হোক চাঁদপুর কণ্ঠের। সেই সাথে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, প্রধান সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, সার্কুলেশন ম্যানেজার, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার এবং বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিসহ সকলের দীর্ঘায়ু প্রত্যাশা করছি।

নামের উপাধি : আমার শিক্ষা সনদ, জাতীয় আইডি কার্ড, জন্ম সনদ ও সরকারি সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে আমার নাম মোঃ আলমগীর হোসাইন। কিন্ত চাঁদপুুর কণ্ঠে কাজ করার সুবাদে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত আমার নামের সাথে কবির সংযোগ করেন। সেই থেকে আমার নাম আলমগীর কবির হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

লেখক : হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়