প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০
আমি সাংবাদিকতার যৌবনে
জানুয়ারি মাস। ২০০৫ সাল। শীতের সকাল। কোনো একদিন লেখালেখি নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদকের সাথে কথা হয়। এ সময় তিনি আমাকে লেখালেখি করতে উদ্বুদ্ধ করেন। আজ সে স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছে আমার মন।
অতীতের দিকে ফিরে তাকাতেই দেখি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে আমার জীবনের অনেক কিছুর মিল এবং দলিল হিসেবে রয়েছে। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে আমার নাম দিয়ে যেদিন নিউজ ছাপা হয় (২০০৫ সালের ৭ অক্টোবর) ওই দিনই আমি প্রথম সন্তানের বাবা হই। আবার ২০০৯ সালে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ভাতিজা-ভাতিজির জন্ম হয়। আরো রয়েছে বহু স্মৃতি, যা অন্য সময় বলা যাবে।
প্রথমত আমি ছিলাম চাঁদপুর কণ্ঠের সংবাদদাতা। তারপর নিজস্ব প্রতিবেদক। ক্রমান্বয়ে স্টাফ রিপোর্টার। পরবর্তীতে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার। বর্তমানে কৃষিকণ্ঠের বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তার পাশাপাশি ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে দুবার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।
দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর রেখে চাঁদপুর কণ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর। চাঁদপুরে মিডিয়া সাক্ষরতার প্রসার এবং ডিজিটাল দক্ষতার প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চাঁদপুর কণ্ঠ। এ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি হলেন প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। চাঁদপুর কণ্ঠ নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক তৈরির পাশাপাশি গণমাধ্যমে পেশাদারদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে কাজ করছে। চাঁদপুর কণ্ঠের একটি শক্তিশালী অনলাইন রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশি-বিদেশে হাজার হাজার পাঠক চাঁদপুরের বিভিন্ন খবর জানতে পারেন।
নির্ভরযোগ্য প্রমাণসহ পাঠকের কাছে সবার আগে তথ্য পৌঁছে দেয়ার প্রতিযোগিতা এখন প্রকট। প্রচলিত গণমাধ্যমের সমস্যা হচ্ছে লোকবলের ঘাটতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো ঘটনার ভিডিওচিত্র কিংবা ছবি তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করতে পারেন। আর এ সমস্যাটা কাটিয়ে ওঠার জন্যেই চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক সম্পাদক মহোদয়ের নেতৃত্বে মাঝে মাঝে সভা হয়। ওই সভা তাৎক্ষণিক সাংবাদিকতার কাজটা সহজ করে দেয়। ফলে সব সময় প্রাণবন্ত থাকছে পাঠকের চাহিদার বিভিন্ন খবরাখবর।
সাংবাদিকতা এখন পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হয়ে উঠেছে। এখন ইন্টারনেটই সংবাদ বিতরণের প্রাথমিক প্ল্যাটফর্ম। এই ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ওয়েবসাইট, ভøগ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল নিউজ অ্যাপের উত্থান ঘটেছে ব্যাপকভাবে। ফলে প্রথাগত প্রিন্ট মিডিয়ার জনপ্রিয়তাও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এমনটি যাতে না হয় সেজন্যেই চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে আজও আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
ভুয়া খবর এবং ভুল তথ্যের যুগে, আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই সত্যতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করছি।
২০০৫ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেছি। এখন কিশোর থেকে আমি সাংবাদিকতার যৌবনে পৌঁছেছি। সামনের দিনগুলোতে যাতে আরো ভালোভাবে কাজ করতে পারি সেজন্যে সকলের দোয়া চাই। আর যাদের অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতা ধরে রাখতে পেরেছি, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
লেখক : সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও বিভাগীয় সম্পাদক, কৃষিকণ্ঠ, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।