প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ২২:৪৯
মতলব উত্তরে ব্যস্ত কামার বাজার

আর মাত্র দুদিন বাকি পবিত্র ঈদুল আজহার। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে এদিন পশু কোরবানি করবেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এসব পশুর মাংস কাটতে দা, বটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অপরিহার্য। আর এসব হাতিয়ার তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মতলব উত্তর উপজেলার কামার শিল্পীরা। কালের আবর্তে সংখ্যায় কমলেও অনেকই পূর্ব পুরুষের কামার শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
|আরো খবর
ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। দম ফেলার যেন ফুরসত নেই তাদের। পশু জবাইয়ের জন্যে ছুরি-চাকু-বটি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনতে শুরু করেছেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ একটু আগেভাগে দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম শান দিয়ে নিচ্ছেন।
সরজমিনে মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পাড়া। কেউ হাঁপর টানছেন, সেই হাঁপরে পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। কেউ কেউ হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে তাদের এমন ব্যস্ততা। তাই খাওয়া-দাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ। সারাবছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের জিনিসপত্রের কেনাবেচা বেড়ে যায়। এ থেকে অর্জিত টাকায় সারাবছর চলে সংসার। বছরের বেশিরভাগ সময় কামার শিল্পীদের কাজ কম থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই তারা এ সময়টাকে কাজে লাগান।
ছেংগারচর বাজারের কামার শিল্পী বিশু ও সুমন জানান,
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও কৃষি যন্ত্রপাতি আধুনিক হওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমেছে। এবার কোরবানির ঈদকে ঘিরে লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে। খরচ বাড়লেও আমাদের আয় বাড়েনি বলে জানান তারা।এভাবেই ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে কামারপাড়া। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পেছনে পড়ে গেলেও কোরবানির ঈদ এখনো এই প্রাচীন পেশায় খানিকটা প্রাণ ফেরায়।
ক্রেতা হানিরপাড় গ্রামের মামুন বলেন, কোরবানির আর বেশি দিন নেই। তাই দা, চাপাতিসহ দরকারি জিনিস কিনে নিচ্ছি। ঈদের সময় প্রচণ্ড ভিড় হয়। মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম শান দিয়ে নিচ্ছি। তবে দাম বেশি রাখছে।