মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মোবাইলের নেশা দাম্পত্য জীবনেও কি প্রভাব ফেলছে?

তথ্য প্রযুক্তি কণ্ঠ ডেস্ক ॥
মোবাইলের নেশা দাম্পত্য জীবনেও কি প্রভাব ফেলছে?

আধুনিক ডিজিটাল যুগে মোবাইলের নেশায় বুঁদ হচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। মোবাইলের স্ক্রিন থেকে মুখ সরাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের। একটু পর পর ফেইসবুক, ইউটিউব, টিকটক না দেখলে শান্তি লাগে না যেনো দেহ-মনে। মানুষ এখন হয়ে উঠেছে এক একটি রোবটিক প্রাণী, যার ফলে সবাইকে বিচ্ছিন্ন করে ওটার দিকে তাকিয়ে থাকতেই থাকতেই সময় কেটে যায়।

মোবাইল ফোনের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডার অবসর। এই অভ্যাসের হাত ধরে ঘুম কম হচ্ছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় ধরছে, উদ্বেগ আর অবসাদও বাড়ছে সমানতালে। জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবন-যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে।

ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন : ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বের করতে হবে সবার আগে। মোবাইল ফোন দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনা চিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।

সময় ঠিক করে নিন : কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, কোরআন তেলাওয়াত শুনুন বা ধর্মীয় কাজে সময় কাটান। নিজের পুরানো স্বপ্ন বা শখগুলো নিয়ে আবার ভাবনা-চিন্তাা শুরু করুন।

অ্যাপ ছাঁটাই : দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলো ফোনে না রাখাই ভালো। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।

বন্ধু খুঁজুন : ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনও সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনও সদস্যও হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।

ফোন ছাড়া ছুটিতে যান : এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে একবার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্যে বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।

সর্বশেষে এটাই বলবো, মুঠোফোন নামক এই স্মার্টফোন যন্ত্রটি আবিষ্কার হয়েছে মানব কল্যাণে। আজকের যুগে মুঠোফোন দিয়েই হাজার প্রকার কাজ করা সম্ভব। মানুষ যেমন এটাকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারে, ঠিক তেমনি খারাপ কাজেও ব্যবহার করতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়