প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
আমি ও আমার জীবন
ঈশ্বর সর্বজ্ঞ!
সীমিত ক্ষুদ্র জ্ঞান আমার, তারে চিনে চলেছি অনুক্ষণ!
জগৎ এখন ব্যস্ততায়, কেউ আমার নেই-নিঃসঙ্গ আমি!
আমার চিরকষ্টের রাত্রিযাপনে নীরবে কান্নার ধ্বনি বাজে
কেউ দেখেনি কান্না আমার, প্রভু জানেন আমায়।
আমার অশ্রুভেজা চোখে প্রভু হাত বুলিয়ে দিলেন।
প্রভুই ভালোবাসেন আমায়!
আমি কতো খারাপ আমি, নিষ্ঠুর সময়ে কতোটা শক্ত প্রভুতে
আমি আমার হিসেবের খাতায় প্রভুকে পাই।
আমার জীবন ঘটনাবহুল, তরঙ্গসঙ্কুল ও জটিল।
কিছু ব্যক্ত, কিছু অব্যক্ত-অকথ্য পথের পথিক আমি।
আমি হাঁটি পবিত্র গোশালায়
যেথায় আমার মুক্তির ঠিকানা মিলে।
কখনো কখনো জীবন খাতা হারাই
আবার দিশেহারা আমি নিজেই কুড়াই।
অথবা জীবন খাতা ছেঁড়া পাতা হয়ে
উড়ে উড়ে বেড়ায় উদ্দেশ্যহীন শিমুল তুলোর মতো!
আমার সুখ-দুঃখ, আনন্দণ্ডবেদনা, স্মৃতি,
আমার পথের পথিক ঈশ্বরকে জানাই।
আমার অশ্রুবিন্দুকণা শুকায়নি এখনো,
বৃষ্টির ফোঁটায় মিশে যায়, আর ঈশ্বরই আমার সান্ত¦না।
আমায় পিছু ডাকে আমার করুণ দৃষ্টি;
তখন ঈশ্বরের শীতল ছায়ায় স্থির।
আমি হরিয়ে যাওয়া জীবন চাই না,
নতুন জন্মণ্ডনতুন জীবন ঈশ্বর হতে আসে।
সুখ-দুঃখ আর গোপন চোখের জল তিনি জানেন।
ফেলতে ফেলতে কিম্বা ছড়াতে ছড়াতে হারাবো না আর,
এতোটা দীর্ঘ পথ সঙ্গী আমার ঈশ্বর।
আমার কোথাও ভুল ছিলো, তাই ঝড় এলো
আমি আর শাস্তি চাই না, চাই না আঁধার, চাই না অদ্ভূত শূন্যতা!
সবাই চলে যায়, ঈশ্বর সঙ্গী-ঈশ্বর আমার পরিত্রাতা।
যখন কেউ মুখোশ পরে
যখন কেউ মুখোশ পড়ে
সত্য তখন নীরব
অথবা মিথ্যেরা জেগে উঠে বীর দর্পে
মিথ্যেরা যে সরব।
মুখোশের আড়ালে
অভিনয়ের ছলনায়,
অথবা মিথ্যের জালে আবদ্ধ সত্য
সত্য লুকায় মিথ্যের ছলনায়।
যখন কেউ মুখোশ পড়ে
বোঝা বড় দায়,
সত্যরা যে চির সত্য জেগে উঠবে একদিন
মিথ্যেরা তখন নাই।