প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ০৮:০৬
বটগাছটার ছায়ায় ফিরে যাই

অফিস শেষে ক্লান্ত শরীরে বারান্দায় দঁাড়িয়ে চা খাই।
চোখ পড়ে দূরেÑএকটা বটগাছ,
তার ছায়ায় বসে ক’জন মানুষ,
আর কয়েকটা ছেলে গাছে উঠে হৈহুল্লোড় করছে।
দৃশ্যটা যেন আটকে যায় আমার চোখে।
হঠাৎ করেই মনে পড়ে যায়
আমার বাড়ির সামনে রেললাইনের পাশে দঁাড়িয়ে থাকা সেই বটগাছটার কথা।
যার ডালে চড়ে আমি একদিন আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলাম।
যার ছায়ায় বসে দুপুর গড়িয়েছিল, বিকেল হেসে উঠেছিল,
আর সন্ধ্যা নামতো নিঃশব্দে নীরবে।
সূর্যাস্তের সোনালি রং গায়ে মেখে ঘরে ফেরা।
কতোদিন বসিনি তার ছায়ায়,
কতোদিন শুনিনি পাতার ফিসফাস পাখির কোলাহল
সে কি এখনো দঁাড়িয়ে আছে?
নাকি আমাকেই খুঁজে ফেরে প্রতিদিন
একটা ফঁাকা ছায়ার নিচে?
আমার শিকড় তো সেখানেই,
এই ইট-কাঠের শহর শুধু ঠিকানাÑ
বটগাছটা ছিলো আমার ঘর,
আর শৈশব ছিল তার ছায়ায় লুকিয়ে থাকা আমার গল্প।
এই কংক্রিট আর সময়ের দৌড়ে আমার সেই ছেলেবেলা,
সেই গাছটার নিচে কাটানো মুহূর্তগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
তবু দূরের এই বটগাছটা প্রতিদিন আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়Ñ
আমার একখণ্ড শৈশব এখনও কোথাও পড়ে আছে,
রেললাইনের পাশে দঁাড়িয়ে থাকা সেই পুরোনো গাছটার ছায়ায়।