প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ২২:৪৮
বেলুয়া নদী

অবিরাম ছুটে চলে শান্ত এক নদী,
জোয়ার-ভাটায় চলে জীবনের গতি;
দুই ধারে তরু, পবণ করে খেলা,
পাখিরা গায় গান, ঊর্মি দেয় দোলা।
সূর্যের আলো পড়ে যেই বুকে,
চিকচিক করে সবার মুখে।
কলকল শব্দে ভরে উঠে মন,
ফসলি জমিতে ছুঁয়ে যায় জীবন।
বৈঠার শব্দে মাঝি দেয় পাড়ি,
ট্রলারে চলে দূর পথের ছবি।
ভেসে ওঠে শুশুক বেলুয়ার বুকে,
জেলেরা সেই দিকে জাল নিয়ে ছুটে।
খাল-বিলে ভরপুর, কচুরি পানায় ভরা,
মেঘের কালো ছায়ায় এক রোমাঞ্চকর খেলা।
রাতের অঁাধারে নিশ্চুপ নদী,
চঁাদের আলো পড়ে করে ঝিকিমিকি।
বেলুয়ার পাড়ে আছে বড়-ছোট বাজার,
বৃষ্টির ফেঁাটায় কান ভিজে সবার।
বেলুয়া নদী বয়ে যাবে যতদিন,
বেলুয়ার প্রতি ভালোবাসা রবে চিরদিন।
এন জে রাবেয়া
মোহনার বুকে চঁাদপুরের গঁাথা
চঁাদপুর মোহনায় জাগে জলের কঁাপন,
তিন নদী এসে মিলেÑমনে জাগে শিহরণ।
পদ্মা কঁাদে, মেঘনা হাসে, ডাকাতিয়া হয় চুপ,
মাটির মতো নিঃশব্দ, তবু বুকভরা হয় রূপ।
নৌকা ভাসে, লোক দঁাড়িয়ে, জালে তার হাত,
মুঠো মুঠো স্বপ্ন বোনে, কখন যেন দিন থেকে হয়ে গেল রাত।
ইলিশের ঘ্রাণে, চারদিক যায় ভরে, মনে পরে কারো ইলিশ ভাজার কথা,
বিধাতা লিখেছেন জননি মোহনার কোলে প্রিয় চঁাদপুরের গঁাথা।
দেখি, ঘাটে ঘাটে জাগে যে নারী,
ভাবি, সেও তো এক মোহনার কন্যা, কেমন হবে জলকথা তারি।
যখন গহীন রাতে সে শুনেছে নদীর বুকফাটা কান্না।
চঁাদপুর মোহনা শুধু জল আর ইলিশ নয়,
এ এক দৌহী মায়ের এমন করুণ কোল—
যেখানে নারী নদী হয়ে, জননী হয়ে
ধরে রাখে বাংলার সৌন্দর্য অটল।
ওহে মোহনা, হাজারো ব্যস্ততার মাঝে যখনি তোমার পানে আসি,
হৃদয়ের গহীন থেকে একটি কথাই আসে