বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সাহিত্যে প্রবীণ ভাবনা

সাহিত্যে প্রবীণ ভাবনা
হাসান আলী

বলা হয়ে থাকে সাহিত্য সমাজের আয়না। সেই আয়নায় প্রবীণের সুখণ্ডদুঃখ, হাসি-কান্না, সফলতাণ্ড ব্যর্থতা, সম্মান-অসম্মান কতখানি দেখা যায় তা নিয়ে কথা বলার অবকাশ রয়েছে।

সমাজে একদিন মুখে মুখে রচিত গল্প, কবিতা, ছড়া, কবিগান, জারি সারি মানুষের বিনোদনের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হতো। কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, প্লেগ, কালাজ্বরের মতো মহামারী, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃত্যু গড় আয়ু কমিয়ে রেখেছিল। ফলে মানুষ প্রবীণ হবার সুযোগ তেমন একটা পেতো না। যারা প্রবীণ হতেন তারা খানিকটা সম্মান-মর্যাদা বেশি পেতেন।

সমাজে প্রবীণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকায় সাহিত্যে তাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি আমাদের নজরে পড়ে না। সাহিত্যের প্রধান চরিত্রগুলোতে তরুণ-তরুণীদের প্রচণ্ড দাপট ছিল। সমাজ তখন অনেকখানি তরুণ নির্ভর থাকায় তরুণ তরুণীদের সুখণ্ডদুঃখ, বিরহ-বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিগুলো সাহিত্যের বড় অংশ দখল করে রেখেছিল। অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ প্রবীণ হবার সুযোগ পেতেন, আবার এদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। এই প্রবীণ নারীরা সমাজে-পরিবারে খানিকটা অসম্মান-অপমানের শিকার হতেন। তাদের সমাজ ও পরিবারে বুড়ি হিসেবে সম্বোধন করা হতো। বিভিন্ন ধরনের প্রবাদ দ্বারা তাদের সামাজিক অবস্থান নির্ধারণ করা হতো।

কানা বুড়ি, চরকা বুড়ি, কুটনি বুড়ি, কুঁজো বুড়ি, উকুনে বুড়ি, পেতিœ বুড়ি, ডাইনি বুড়ি এসব বলে প্রবীণ নারীর চলাফেরা, আচার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা হতো। নেতিবাচক পরিচিতি দিতে বলা হতো, চাল নষ্ট মুড়ি আর পাড়া নষ্ট বুড়ি। বিশেষ করে পরিবারের তরুণ সদস্যরা প্রবীণ নারীর প্রতি অনেক সময় শোভন আচরণ করতো না। ফলে প্রবীণ নারীরা রাগে-দুঃখে, অসম্মান, অপমানে অভিযোগ, নালিশ, অভিশাপ দিয়ে নিজেকে সান্ত¡না দেবার চেষ্টা করতেন।

প্রবীণ পুরুষদের হাতে জমি জমা, সহায় সম্পদ থাকায় তেমন একটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় না। তাই সাহিত্যে তাদের উপস্থিতি খানিকটা মর্যাদা এবং সম্মানের। যেমন একতাই বল গল্পে দেখানো হয়, একজন প্রবীণ ব্যক্তির ছেলেরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারিতে লিপ্ত রয়েছে। একদিন প্রবীণ ব্যক্তি তার ছেলেদের হাতে একটি করে কাঠি তুলে দিয়ে ভাঙ্গতে বলেন। সবাই কাঠি মট মট করে ভেঙ্গে ফেললো। এবার প্রবীণ পিতা অনুরূপ কাঠি সবার হাতে দিয়ে বললেন, তোমরা এবার সব কাঠি একত্রিত করে আঁটি বেঁধে নিয়ে আসো। ছেলেরা আঁটি বেঁধে আনার পর পিতা এক এক করে সবাইকে আঁটি ভাঙ্গতে বললেন। কেউই আঁটি ভাঙ্গতে পারলো না। পিতা ছেলেদের বললেন, একতাই বল। এখানে প্রবীণ পুরুষকে জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আমাদের শিশু সাহিত্যে বহু বছর ধরে প্রবীণ নারীর অক্ষমতা, অসহায়ত্বকে শিশু শিক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিশুদের কাছে জনপ্রিয় পান্তা বুড়ি, উকুনে বুড়ি, কুঁজো বুড়ির গল্প। উকুনে বুড়ি গল্পের মূলকথা হলো, বুড়ি স্বামীকে ভাত দেবার সময় মাথা থেকে থালায় উকুন পড়ে। এতে তার স্বামী পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বুড়ি কোথাও আশ্রয় পেলো না। অবশেষে বক বুড়িকে রাঁধুনি হিসেবে কাজ দেয়। একদিন রান্না করতে গিয়ে চুলার আগুনে পুড়ে মারা যায়।

কুঁজো বুড়ির গল্প হলো, বুড়ি খাবারের অভাবে নাতনির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলো। বাড়িতে রেখে গেল প্রিয় তিনটি কুকুরকে। পথিমধ্যে বাঘ-শিয়াল তাকে খেতে চাইলো। বুড়ি জানালো, তার গায়ে এখন মাংস নেই, নাতনির বাড়ি খেয়েদেয়ে মোটা তাজা হয়ে ফেরার পথে খেলে বেশি লাভ হবে। নাতনির বাড়ি খেয়েদেয়ে মোটাতাজা হয়ে লাউয়ের খোলে ঢুকে বাঘ-শিয়ালের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি চলে আসে। পান্তা বুড়ির গল্প হলো, বুড়ির পান্তা রাতে চোর চুরি করে খেয়ে ফেলে। চোর ধরতে গোবর, ছুরি, বেল সহযোগিতা করে।

উপরের তিনটি গল্পে প্রবীণ নারীর নিঃসঙ্গতা, অসহায়ত্ব, অক্ষমতাকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রবীণ নারীর অক্ষমতা, অসহায়ত্ব শিশুর মানসিক বিকাশে কী ভূমিকা রাখবে সেটা বিবেচনা করার সময় আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। আমাদের প্রধান কবি শামসুর রাহমান শিশুদের জন্যে কয়েকটি ছড়া রচনা করেছেন। তিনিও প্রবীণ নারীর প্রতি সদয় হতে পারেননি। তাঁর রচিত ছড়াগুলোর নাম উকুনে বুড়ি, জটি বুড়ি, চরকা বুড়ি। ভাগ্যিস তিনি প্রবীণ পুরুষদের নিয়ে ছড়া লেখেন নি। আমি যখন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ছিলাম, তখন খ্যাতিমান ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত 'ক্রেবিড এইজ এন্ড ইয়ুথ' কবিতাটি পাঠ্যতালিকায় ছিল। সেই কবিতার মধ্য দিয়ে কবি যৌবন এবং বার্ধক্যের তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করেছেন। বার্ধক্যকে শীতকাল এবং যৌবনকে গ্রীষ্মকাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বার্ধক্য অক্ষম অচল অপরদিকে যৌবন চপল চঞ্চল। যৌবন দুঃসাহসিক, উচ্ছল আর বার্ধক্য শৈথিল্যপূর্ণ খিটখিটে। কবি বার্ধক্যকে ঘৃণা করেছেন, অপরদিকে যৌবনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেজন্যেই বার্ধক্য আড়াল করার সংস্কৃতি জোরদার হচ্ছে কিনা সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

নোবেলজয়ী আমেরিকান লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৫২ সালে রচনা করলেন 'দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' নামের ১২৭ পৃষ্ঠার কালজয়ী উপন্যাস। উপন্যাসের নায়ক সান্তিয়াগো ৮৫ বছর বয়সী কিউবান মৎস্য শিকারী। স্ত্রী বেঁচে নেই। একাকী থাকেন। তাঁর মেনোলিন নামে কমবয়সী একজন শিষ্য ছিল। মেনোলিন সান্তিয়াগোর কাছে মাছ ধরা শিখে, গল্প শোনে, দৈনন্দিন কাজ কর্মে সহযোগিতা করে, বিনিময়ে খাবার এবং পোশাক পায়। সান্তিয়াগো ৮৪ দিন একটি মাছও ধরতে না পারায় মেনোলিনের পিতামাতা হতাশ হয়ে পড়েন। মেনোলিন সান্তিয়াগোকে অনেক পছন্দ করতেন, তাই ছেড়ে যেতে রাজি হননি। অবশেষে ৮৫ দিনে সান্তিয়াগো মারলিন নামের বিশাল একটি মাছ বড়শিতে আটকে ফেললেন।

মাছের ক্ষিপ্রতা, শক্তি, চালাকি বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর দক্ষতা, ধৈর্য ও বুদ্ধির কাছে হেরে গেলো। কিন্তু মারলিনের রক্ত সমুদ্রের পানিতে ছড়িয়ে পড়ায় হাঙ্গরের দল মারলিনের শরীরের প্রায় সবটুকু খেয়ে ফেলে। বৃদ্ধ সান্তিয়াগো হাঙ্গরের হাত থেকে মাছ রক্ষা করতে পারেনি। সমুদ্র তীর থেকে মাছের কঙ্কাল টেনে বাড়ির দিকে আনলেন। উপকূলবাসী এর আগে এতোবড় মাছের কঙ্কাল দেখেনি। আমরা এই উপন্যাসে একজন হার না মানা প্রবীণ বীরকে দেখতে পাই, যিনি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসেন। নিঃসঙ্গতা, হতাশা, সমালোচনা, ক্লান্তি তাঁর কাছে পাত্তা পায় না।

খ্যাতিমান ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের বিখ্যাত নাটক 'দ্যা মাইজার' বাংলাদেশে 'কুঞ্জস' নামে সর্বাধিক মঞ্চায়িত হয়েছে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই নাটকের মূল চরিত্র হলো কৃপণ হায়দার আলী খান। তিনি ৭০ বছর বয়স অতিক্রম করেছেন। তার এক ছেলে কাযিম আলী আর এক মেয়ে লাইলী বেগম। লাইলীর প্রেমিক বদিউজ্জামাল হায়দার আলীর খাস চাকর। কাযিম আলীর প্রেমিকা মর্জিনাকে বিয়ে করতে গোলাপ জান ঘটকের সাহায্য প্রার্থী হয় হায়দার আলী। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হায়দার আলী টাকা পয়সা খরচ করার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক। ছেলেমেয়ে বেকার পিতার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। হাসি ঠাট্টার ছলে একজন প্রবীণকে সমাজের চোখে হাস্যস্পদ করার চেষ্টা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। কারো বৈধ অর্জিত টাকা পয়সা কাকে দিবে না দিবে এটা ব্যক্তির ইচ্ছা বা অনিচ্ছা। কাউকে কৃপণ বলে হেয় করার সুযোগ নেই। এখানে কেউ মতামত দেয়া ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর চরম হস্তক্ষেপ।

হায়দার আলী টাকা পয়সা খরচ করতে চায় না, তাই তিনি কৃপণ এমন কথা বলা ঠিক হবে না। কতজন পিতা কন্যার বয়সী একজন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব করে এটা খতিয়ে দেখা দরকার।

এ ধরনের নাটক থেকে তরুণদের মধ্যে প্রবীণ বিদ্বেষী অশ্রদ্ধার মনোভাব তৈরি হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বাপের হোটেলে থাকা খাওয়ার মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিকে পরনির্ভরশীল করবে। কোনো নাটক তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করলেই সেটা নৈতিক, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হবে এমনটা ভাবার সুযোগ কম।

আমার ধারণা, বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রবীণ জীবনকে দার্শনিকভাবে তুলে ধরেছেন মরমী কবি হাছন রাজা। তাঁর কালজয়ী রচনা, ‘লোকে বলে, বলেরে ঘর-বাড়ি ভালো না আমার। কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যেরও মাজার। আয়না দিয়া চাইয়া দেখি পাকনা চুল আমার। এই ভাবিয়া হাছন রাজা ঘর দুয়ার না বান্ধে, কোথায় নিয়ে রাখবো আল্লায় তার লাগিয়া কান্দে।’

পার্থিব সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধিতে মানুষের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, তা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার প্রেরণা এই গান থেকে পাওয়া যেতে পারে। মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন রঙিন করে ঘর দুয়ার বেঁধে লাভ হয় না।

প্রবীণ জীবনের নানান চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরেছেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম। তিনি রচনা করলেন স্মরণকালের জনপ্রিয় গান, ‘আগের বাহাদুরি এখন গেল কই? চলিতে চরণ চলে না, দিনে দিনে অবশ হই।

মাথায় চুল পাকিতেছে, মুখে দাঁত নড়ে গেছে। চোখের জ্যোতি কমেছে মনে ভাবি চশমা লই।

মন চলে না রঙ তামাশায়, আলস্য এসেছে দেহায়। কথা বলতে ভুল পড়ে যায়, মধ্যে মধ্যে আটক হই।’ এই গানের মধ্যে শাহ আবদুল করিম জীবনের প্রতিটি পর্যায়কে তুলে ধরে মানুষের মনকে দোলা দিতে পেরেছেন। আমাদের দেশে শিশু উপযোগী লেখা তৈরি করার জন্যে শিশু সাহিত্যিকরা রয়েছেন। কিশোর উপযোগী লেখাগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শুধু প্রবীণদের জন্যে আলাদা করে সাহিত্য চর্চা নেই। প্রবীণ সাহিত্য নিয়ে কথা উঠলে কেউ কেউ যুক্তি তুলে ধরে বলেন, অমুকের অমুক লেখায় প্রবীণ বিষয় রয়েছে। প্রবীণের পক্ষে বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডার থেকে নিজের উপযোগী সাহিত্য খুঁজে বের করা খুবই কঠিন বিষয়। প্রবীণের মন মানসিকতা, চাহিদা, বিনোদন বিবেচনায় নিয়ে প্রবীণ সাহিত্য তৈরি করা সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি প্রবীণের বসবাস। তাদের জীবনের নানান চ্যালেঞ্জ, সংকট, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রেম, বিরহ, ব্যথা-বেদনা, নিঃসঙ্গতা সাহিত্যে তুলে আনাই লেখকদের একটা কাজ হতে পারে। দুই কোটি প্রবীণের জীবন কবি-সাহিত্যিকের বিবেচনার বাইরে থাকলে তা হবে বয়স বিদ্বেষী মনোভাব।

লেখক, প্রকাশকরা উদ্যোগ নিয়ে আলাদা করে প্রবীণ সাহিত্য হিসেবে নতুন ধারা চালু করতে পারেন। নানা কারণে প্রবীণের চলাচল সীমিত হয়ে যায়। সশরীরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করার সুযোগ কমতে থাকে। ফলে বই, পত্রিকা, টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুকের ওপর নির্ভরতা বাড়ে। অথচ পত্রিকায় আলাদা প্রবীণ পাতা নেই, টেলিভিশনে প্রবীণদের দুঃখণ্ডদুর্দশাই বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়। বার্ধক্যকে উপভোগ করার ক্ষেত্রে সাহিত্য বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রবীণ উপযোগী সাহিত্য জীবন সম্পর্কে সম্যক উপলব্ধি লাভে সহয়তা করবে। আমাদের কবি-সাহিত্যিকরা প্রবীণ উপযোগী সাহিত্য রচনায় এগিয়ে আসবেন--এটাই প্রত্যাশা।

হাসান আলী : প্রবীণ বিষয়ের লেখক, গবেষক ও সংগঠক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়