বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০০:০০

জাতিকে ধ্বংসের স্লোগান : মুখস্থকে না বলি
সরকার আবদুল মান্নান

মানুষ প্রতিনিয়ত শুনছে, পড়ছে, দেখছে, স্পর্শ করছে, অনুভব করছে। এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে মানুষ অসংখ্য তথ্য বা তত্ত্ব স্মৃতিতে ধারণ করে রাখছে। অর্থাৎ কোনো একটি তথ্য বা তত্ত্ব; দৃশ্য বা অনুভবগ্রাহ্য কোনো বিষয়; শ্রুত বা স্পর্শগ্রাহ্য কোনো অভিজ্ঞতা স্মৃতিতে ধারণ করে বা মুখস্থ করে রাখার ক্ষমতা আছে একমাত্র মানুষের। খুব শৈশব থেকে মানসিক এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বিপুল এক তথ্যভা-র গড়ে ওঠে। বিচিত্র পরিবেশ-পরিস্থিতিতে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মানুষ এই তথ্যভা-র প্রয়োগ করে। এই সৃজনশীলতা মানব প্রজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য।

মানবজীবন পরিচালিত হয় তিনটি দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে-প্রথমটি চিন্তন দক্ষতা (কগনেটিভ স্কিল), দ্বিতীয়টি মনোপেশিজ দক্ষতা (সাইকোমটর স্কিল) এবং তৃতীয়টি হলো অবেগীয় দক্ষতা (এফেকটিভ স্কিল)। আর এসব দক্ষতা পরিচালিত হওয়ার মূলে থাকে চিন্তন দক্ষতা এবং চিন্তন দক্ষতাকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের মুখস্থ রাখার ক্ষমতা। এই চিন্তন দক্ষতা মানুষের স্নায়বিক গড়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। কখনো কখনো বয়স্ক মানুষ কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তার বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং কখনো কখনো ব্যক্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। এটি এক ধরনের স্নায়বিক রোগ, যাকে ডিমেনশিয়া বলে। সুতরাং মানুষের মনে রাখার ক্ষমতা প্রকৃতিলব্ধ। জন্মসূত্রেই মানুষ এই ক্ষমতা লাভ করে। সে যতই বড় হতে থাকে, ততই সে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে এবং স্বাভাবিকভাবে তার এই ক্ষমতা বাড়তে থাকে। আবার বার্ধক্যের একটি পর্যায়ে গিয়ে কারও কারও স্মরণশক্তি কমতে থাকে এবং কেউ কেউ ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হন।

আমরা প্রতিনিয়ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নানা প্রয়োজনে যোগাযোগ রক্ষা করি। সেই যোগাযোগ সাধিত হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৌখিকভাবে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে লিখিতভাবে। এই যোগাযোগের তাৎপর্য বিচিত্র। কিন্তু সেই যোগাযোগের তাৎপর্য যা-ই হোক না কেন, এর কেন্দ্রে থাকে স্মৃতিতে ধারণ করে রাখা তথ্যের আশ্রয়।

তথ্য বা তত্ত্ব অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অন্যের কাছ থেকে তথ্য বা তত্ত্ব গ্রহণ করা ছাড়া মানবজীবনের কোনো সার্থকতা নেই। এই তথ্য বা তত্ত্ব মানুষকে মুখস্থ রাখতে হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি এসব তথ্য সবচেয়ে বেশি স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে পারবে বা মুখস্থ করে রাখতে পারবে, তার যোগাযোগ ক্ষমতা তত বেশি হবে এবং সে খুব সাফল্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে পারবে। কিন্তু যার তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করে রাখার ক্ষমতা কম, তার যোগাযোগের মধ্যেও তথ্যগত ত্রুটি থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে একটি সফল যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়। একটি উদাহরণ দিই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মানুষের নাম, ঘটনা, স্থান এবং সন-তারিখসহ নানা বিষয় স্মৃতিতে ধারণ করে রাখার অসাধারণ প্রতিভা ছিল। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি সাধারণ মানুষের নাম ধরে সম্বোধন করতে পারতেন। এতে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে তার হার্দিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এবং এই বিস্ময়কর ক্ষমতার জন্য তিনি কারাগারে বসে কোনো রকম রেডি রেফারেন্স ছাড়া ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’র মতো কালজয়ী গ্রন্থ রচনা করতে পেরেছেন। এখানে কাজ করেছে একদিকে তার অসামান্য মুখস্থক্ষমতা এবং অন্যদিকে সৃজনশীলতা। আর এই দুয়ের ঐক্যে রচিত হয়েছে উল্লিখিত গ্রন্থাবলি।

আমাদের অধিকাংশেরই মনে রাখার এই ধরনের যোগ্যতা থাকে না। আমরা মানুষের নাম মুখস্থ রাখতে পারি না, স্থান-কাল ও ঘটনার নাম মনে রাখতে পারি না। অনেক সময় মুখস্থ রাখা তথ্যও ভুলে যাই। কিন্তু এসব বিষয়ে যিনি যত বেশি দক্ষ তার যোগাযোগ ক্ষমতা তত বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তারা একটি বিদ্যায়তনিক মূল্যায়নের ভেতরে থাকে। ক্লাসরুমে তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় এবং পরীক্ষায়ও তাদের নানা রকমের প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। তাদের এই বলা ও লেখার জন্য অনেক তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে হয়। তথ্যাদি স্মৃতিতে ধারণ করে রাখার নামই হলো মুখস্থ রাখা। মুখস্থ রাখা যে শুধু পরীক্ষার সময়ই প্রয়োজন হয়, তা নয়, চাকরিবাকরির নানা পরীক্ষায়, ভাইভা পরীক্ষায় এই মুখস্থশক্তি কাজে লাগে।

‘মুখস্থকে না বলি’-এমন একটি স্লোগান খুব বিখ্যাত একটি পত্রিকায় বহুদিন প্রচারিত হয়েছে এবং ওই পত্রিকাটি মুখস্থকে মাদকের সঙ্গে তুলনা করেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কারণ পত্রিকাণ্ডসংশ্লিষ্ট যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা বুঝতেই পারেননি যে, মানুষ এমন কোনো কথাই বলতে পারে না, যার পেছনে কিছু তথ্য মুখস্থ না থাকে। ধরা যাক, আমরা যদি বলি, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।’ এই কথাটুকু বলতে গেলে আমাদের বেশ কিছু তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে হবে। প্রথমে হচ্ছে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তারপরে ‘১৯১৩ সাল’ যে কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি নোবেল প্রাইজ পান, সেই কাব্যগ্রন্থটির নাম অর্থাৎ ‘গীতাঞ্জলি’ এবং যে পুরস্কারটি তিনি লাভ করেন সেটি হচ্ছে ‘নোবেল পুরস্কার’। এই তথ্যগুলো যদি মুখস্থ না রাখা হয়, স্মৃতিতে ধারণ করে না রাখা হয়, তাহলে শুদ্ধভাবে সঠিকভাবে নির্ভুলভাবে কথাগুলো বলা যাবে না। তার মানে হলো, প্রতিনিয়ত আমরা যত কথা বলি, সেই কথাগুলোর মধ্যে এমন প্রচুর তথ্য থাকে, যেগুলো স্মৃতিতে ধারণ করে না রাখলে আমরা সুষ্ঠুভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারব না। খুব মনে পড়ে, শৈশবে নানা কায়দায় মুখস্থ রাখার চেষ্টা করতাম। সাতটি রঙের নাম মুখস্থ রাখার জন্য রঙগুলোর আধ্যাক্ষর মনে রাখতাম, আর তা হলো বেনীআসহকলা (বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল)। এই পদ্ধতিতে মনে রাখাকে বলে ম্যানিমুনিক। মুষ্টিবদ্ধ হাতের দশ আঙুলের চূড়া ও খাদকে একত্রিশ ও ত্রিশ দিন ধরে আমরা খ্রিষ্টীয় কোন মাস কত দিনে, তা মনে রাখতাম। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম হলো বা হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের খাদ, যা আটাইশ/ঊনত্রিশ দিনে। ওই খাদে পড়ে ফেব্রুয়ারি মাস। সারা পৃথিবীতে মুখস্থ রাখার নানা রকম জনপ্রিয় পদ্ধতি প্রচলিত আছে। বিচিত্রভাবে যোগাযোগের জন্য তথ্য মুখস্থ রাখার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে আমরা যদি চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করি, তা হলে দেখতে পাব যে, কী পরিমাণ তথ্য তাদের মুখস্থ রাখতে হয়। এ হলো তথ্যের জগৎ। তা হলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শিক্ষার্থী মূল্যায়নে যে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রণয়ন করে, সেই সৃজনশীল পদ্ধতির গড়ন কেমন হবে এবং কোনো বিষয় মুখস্থ করার পথ প্রায় রুদ্ধ করে দেয়া হবে কি না তা ঠিক করা?

সৃজনশীল পদ্ধতির ছয়টি ধাপ আছে। ধাপগুলো হলো নলেজ বা স্মরণশক্তি, কমপ্রিহেন্সন বা অনুধাবন, অ্যাপ্লিকেশন বা প্রয়োগ, অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ, সিন্থেসিস বা সংশ্লেষণ এবং ইভালুয়েশন বা মূল্যায়ন। কিন্তু মজার বিষয় হলো প্রথম ধাপটি তো একান্তই মুখস্থ তথ্যভিত্তিক এবং পরের ধাপগুলোও মুখস্থ তথ্যের বাইরে নয়। কারণ মুখস্থ তথ্য ছাড়া কোনো ধাপই শিক্ষার্থীরা অতিক্রম করতে পারবে না। সৃজনশীলতার সঙ্গে মুখস্থের কোনো সংঘাত নেই বরং একটি অন্যটির পরিপূরক। একটি উদাহরণ দিই। জীবনানন্দ দাশের একটি বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’। সেখানে প্রথম তিনটি পঙ্ক্তি এ রকম : ‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,/ সিংহল সমুদ্র থেকে নিশিথের অন্ধকারে মালয় সাগরে/ অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে।’ এই পঙ্ক্তি তিনটির মধ্যে খোলা চোখে কতগুলো তথ্যের মুখোমুখি হই আমরা, আর সেই তথ্যগুলো হলো ‘সিংহল’, ‘মালয়’, ‘বিম্বিসা’, ‘অশোক’ ইত্যাদি। তার মানে হলো, সৃজনশীলতার জগতেও মুখস্থ তথ্যাদি অনিবার্য হয়ে পড়ে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ওইসব তথ্যের তাৎপর্য যা-ই হোক না কেন, কিছু তথ্য স্মৃতিতে ধারণ করা ছাড়া, মুখস্থ করা ছাড়া তিনি কিছুতেই এই কবিতা সৃষ্টি করতে পারতেন না। কবিতায় মিথের ব্যবহার এ বিষয়ে স্মরণযোগ্য।

তা হলে ২০১০ সালে প্রবর্তিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে মুখস্থকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, ওই মুখস্থকে ইংরেজিতে বলে রোট লার্নিং। অর্থাৎ যে মুখস্থের সঙ্গে অনুধাবন বা চিন্তন দক্ষতার অন্য ধাপগুলোর কোনো সম্পর্ক থাকে না। শিক্ষার্থীরা কোনো নোট-গাইড বা অন্য কোনো সূত্র থেকে একটি পুরো রচনা বা কোনো প্রশ্নের পুরো উত্তর মুখস্থ করে ফেলে এবং পরীক্ষার খাতায় হুবহু তা লিখে দিয়ে আসে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের মতো করে লেখার অভ্যাস হ্রাস পায়, সৃজনশীলতা কমে যায়। পাঁচণ্ডদশ-বিশ নম্বরের পুরো উত্তর হুবহু মুখস্থ করে লেখার ওই সুযোগ থেকে সরিয়ে আনার জন্যই প্রণয়ন করা হয়েছিল সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি। সেই পদ্ধতির অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সেটি অন্য বিষয়। কিন্তু সেখানে কিছুতেই মুখস্থকে না বলা হয়নি। বরং ভিন্ন এক পথে মুখস্থকে উৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ বিদ্যায়তনিক শিক্ষায় না-বুঝে কোনো পাঠ মুখস্থকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ পুরো পরীক্ষাপদ্ধতি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিটির মধ্যে যাতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ভূমিকা থাকে, শিক্ষার্থীরা যেন নিজের ভাবনাগুলোকে নিজের মতো করে লিখতে পারে, নিজের মুখস্থ করার ক্ষমতা, অনুধাবন ক্ষমতা, প্রয়োগ ক্ষমতা, বিশ্লেষণ ও সংশ্লেষণ ক্ষমতা এবং মূল্যায়ন ক্ষমতার পরিচয় দিতে পারে-এমন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যে পদ্ধতিটি এখনো কার্যকর আছে। কিন্তু ওই পত্রিকাটি যে স্লোগানের আশ্রয় নিয়েছে, তা ছিল প্রশ্নপদ্ধতির ওই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ যারা এই স্লোগানটি প্রণয়ন করেছেন, সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বুঝতেই পারেননি যে, এনসিটিবির উদ্দেশ্য কী এবং তারাই বা কী বলছেন। অথচ তাদের এই ভুলের জন্য লাখ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভেবে নিয়েছে যে, কোনো কিছুই স্মৃতিতে ধারণ করার প্রয়োজন নেই, মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই। এই বিভ্রান্তির ভেতরে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে এবং সৃজনশীল ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি মনে করি পত্রিকাটি যে ভুল করেছে, তার জন্য ক্ষমা চাইবে। বিশেষ করে মুখস্থকে মাদকের সঙ্গে তুলনা করে তারা অপরাধ করেছেন। ওই ভুল এবং অপরাধমূলক স্লোগান যেভাবে তারা বিজ্ঞাপনের মতো করে প্রচার করেছেন, একইভাবে তারা তাদের ভুল ও অন্যায়ের কথাও প্রচার করবেন।

* লেখা পাঠানোর ই-মেইল : [email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়