প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২০
ধূসর দিগন্তে

এম এ খান ধূসর দিগন্তে
দেহ ছেড়ে মন আজ অনেক দূরে
যে পথ বেঁকে গেছে জনতার ভিড় গলে
নির্জন ফাগুনের রিক্ত ক্ষেতের আইল বেয়ে
যেন এক ধূসর দিগন্তে মিশে গেছে পথের প্রান্তÑ
তবু এই দেহ রোজ তোমাদের ডাকে ভোরের শালিকের মতোÑ
উদয়াস্ত ঘুরেফিরে প্রাণহীন ছায়া।আমাদের বলে কোন শব্দ নেই নির্জনতার অভিধানে
এন্তার ঐশ্বর্য ডাকেনি কোনদিন,
যে জীবন নক্ষত্রের মতো নিঃশব্দ বিলীন
সুখ-সুখ করে গেলে তোমরাÑ
সুখ কি পেয়েছো শেষে?
গড়েছো কি শান্তির মিনার এই অশান্তির পৃথিবীতে পরে?
থেমেছে কি কোলাহল, হানাহানি তোমাদের ঘরে?আমার নির্জন পথ বাড়ে দিগন্তের ব্যবধানে যে পথ চলে গেছে মহাশূন্যের আঁধারে।
***
গ্লানি
তবুও স্বপ্ন দেখি,
একদিন ছিন্ন করব জীবিকার অদৃশ্য জাল,
বাঁধনছেঁড়া বুনো বিহঙ্গের মতো সোল্লাসে ঢুকে পড়ব আকাশের দুর্ভেদ্য সীমানায়,
ইহ-জনমের সব অস্পৃশ্যকে করায়ত্ত করব শিশুর খাবলে নেওয়া খাবার মুঠির মতোÑ
আমি একদিন সমস্ত দ্বিধার দেয়াল ভেঙে সাদা কালিতে মুছে দেব সংকোচের সীমারেখাÑ
মন আর মন নেই; ঢাকা পড়ে গেছে প্রবোধের অশেষ জঞ্জালে,
বেশুমার ব্যর্থতা চিনেছে তার আপন জন্মভূমি;
অথচ আমি ভালোবাসি গান, কবিতা, ছন্দ আর শিল্পের সুগভীর কারুকাজকোন পথে এসে জীবন কোন গলিতে হায়!
আজ আর পায় না খুঁজে পথের অপর প্রান্ত
পলিতে কি থেমে রয় নদী? নাকি হয় দিকভ্রান্ত?








