মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১১:২১

হাইমচরের কমলাপুরে এক বাগানে ২৫ জাতের আম চাষ

স্টাফ রিপোর্টার
হাইমচরের কমলাপুরে এক বাগানে ২৫ জাতের আম চাষ

চাঁদপুরের হাইমচরের ২নং আলগী দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামে ৫ একর জায়গা জুড়ে ২৫ জাতের আম চাষ করা হচ্ছে। যা স্থানীয় এলাকাতে বিক্রির পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও রপ্তানি হচ্ছে। শখের বসে প্রায় ৪ বছর যাবৎ এই আম চাষ করে যাচ্ছেন স্পেন প্রবাসী বিল্লাল হোসেন দুলাল। এসব তথ্য জানিয়েছেন এই আম বাগানের উদ্যোক্তা দুলালের পিতা সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত আলী আহমেদ মিলিটারী।

তিনি বলেন, দুলাল মাঝে মাঝে বাড়ীতে আসে। তখন সময় কাটাতে শখের বসে তীলে তীলে বিভিন্ন স্থান থেকে ভালো জাতের আমের চারা সংগ্রহ করে বাগানটি করেছে। বাগানটির পরিচর্যায় প্রায় ১৫ জন লোক নিয়োজিত রয়েছে। এই পর্যন্ত বাগানটিতে ২৫ জাতের আমের চাষ হয়েছে। কাটি মুন, বারি-১১, আম রুপালি, হাঁড়ি ভাঙ্গা, ব্যানানা ম্যাংগো, ল্যাংড়া আম এই বাগানে বেশি চাষ হচ্ছে। যা আমরা নিজেরা খাই, প্রতিবেশীদের দেই। পাশাপাশি সরাসরি সাপ্লাই করি এবং অনলাইনেও বিক্রি করে থাকি। তবে এবার বিভিন্ন জাতের আম ঝরে পড়ে যাচ্ছে। তাই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করছি।

বাগানের শ্রমিক মোঃ সিয়াম হোসেন বলেন, আমি এই বাগানে সার্বক্ষণিক থাকি। বিভিন্ন জায়গায় থেকে লোক দেখতে এসে আম কিনে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পর টুপুর টুপুর আম গাছ থেকে পড়তে থাকে। তখন আমি নিজেও খাই এবং এগুলো দেখতেও খুব আনন্দ লাগে।

হাইমচরের ২নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, স্পেন প্রবাসী দুলাল ভাই সুন্দর একটি আম বাগান করেছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায় এবং দূরদূরান্ত থেকে আম বাগানটি দেখতে বিভিন্ন লোকজন আসছে। এতে করে এই আম বাগানের কারনে আমাদের ইউনিয়নের সুনাম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কমলাপুর গ্রামেরও সৌন্দর্য বেড়েছে। আম বাগানের জন্য দুলাল ভাই কোন সহযোগিতা চাইলে আমার তা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে করবো।

আম ঝরে পড়া প্রসঙ্গে হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, কমলাপুর গ্রামের আম বাগানটির বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। উদ্যোক্তা দুলাল আমের ভালো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন এবং ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আমের বাগান করায় আমি তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি। বাগানের আমের ক্ষেত্রে যদি টেকনিক্যাল কোনো সহায়তা লাগে অবশ্যই তাকে আমরা সহায়তা দিবো। তার বাগানের আম ঝড়ে পরার ঘটনাটি স্বাভাবিক। কেননা প্রচন্ড গরম অত্যাধিক তাপমাত্রা হওয়ায় আম ঝড়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে তিনি যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে আমরা এটি প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থাপত্র লিখে দিবো। তিনি যদি আমাদের ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করেন তাহলে আশা করছি অবশ্যই তার বাগানের আমের অনেক উপকার হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়