প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
‘রতন প্লাস’ জাতের টমেটো চাষে কৃষকের মুখে হাসি
চাঁদপুরে ‘রতন প্লাস’ জাতের টমেটো চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে এই জাতের টমেটোর চাষ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৮৫ হেক্টর, শাহরাস্তি উপজেলায় ১০ হেক্টর ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৭৭৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছিলো।
এ বছর চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৩২০ হেক্টর, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৪৫ হেক্টর, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৮৫ হেক্টর, শাহরাস্তি উপজেলায় ১০ হেক্টর ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে মোট ৮০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ টমেটোর আবাদ হয়েছে। বাজারে দাম বেশি, তাই পাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত কৃষক।
সেখানকার কৃষক মোঃ রুবেল খান বলেন, আমি এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে ‘রতন প্লাস’ জাতের টমেটা রোপণ করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে টমেটো রোপণ, সার ও কীটনাশকসহ মোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এ থেকে সব মিলিয়ে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি।
আলমগীর নামে আরেক কৃষক বলেন, এই আমানউল্লাহপুর গ্রামটিতে সব ধরনের সবজিরই ভালো ফলন হয়। এ বছর সবচেয়ে বেশি হয়েছে টমেটোর চাষ। এখন বাজারে টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া এই এলাকার টমেটো বিষমুক্ত, যে কারণে অনেক সময় ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই টমেটো কিনে নিয়ে যায়।
মমতাজ নামে অন্য এক কৃষাণী বলেন, আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছি। ‘রতন প্লাস’ জাতের এই টমেটো ৭ থেকে ৮টিতেই এক কেজি ওজন হয়। এই জাতের টমেটো ফলনও বেশি। তিনি আরো বলেন, আমরা টমেটো ক্ষেত থেকে তোলার পর ট্রাকে করে চাঁদপুর পাল বাজারে নিয়ে যাই এবং সেখানে পাইকারি বিক্রি করি। এ বছর টমেটো চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাফায়েত আহম্মদ বলেন, টমেটো চাষে কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়াও টমেটোর রোগ বালাই থেকে মুক্তির জন্যে মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা খোঁজ-খবর রাখছেন। টমেটো ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আগামীতে টমেটো আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর গ্রামে কৃষক মোঃ রুবেল খানের ‘রতন প্লাস’ জাতের টমেটো ক্ষেত।