সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৯

চিতোষী সুলতানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

শাহরাস্তি ব্যুরো।
চিতোষী সুলতানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

শাহরাস্তির চিতোষী সুলতানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে এলাকাবাসীর পক্ষে নানা অভিযোগ ও অনিয়ম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মো. কামাল হোসেন।

তাঁর লিখিত বক্তব্য হচ্ছে :

আমি চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমরা স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে, গত ০৪/১২/২০২৫ তারিখে চিতোষী সুলতানিয়া ফজিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর দুইজন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একরামুল হককে বিষয়টি জানায়। তিনি বিষয়টি আমলে না নিয়ে ছাত্রীদের পাঠিয়ে দেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীরা বিষয়টি উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বরত এসআই সফিকুল ইসলামকে অবহিত করেন। তিনি পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন। ছাত্রীরা ঘটনাটি তাদের অভিভাবকদের জানায়। তারা অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালে অধ্যক্ষ উল্টো ছাত্রীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগির অভিভাবকরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে ও অধ্যক্ষের গাফিলতির বিষয়টি জানায়। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্পর্শকাতর ও ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকরা নিরূপায় হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। অধ্যক্ষের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অধ্যক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উল্টো ছাত্রীদের চরিত্র হনন ও এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের নামে প্রপাগান্ডা তৈরি করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে তদন্তকে ব্যাহত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ মদদে একটি গোষ্ঠী ও মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম ও সমাজ কর্মী হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম খলিল মঞ্জুর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষোদগার করে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। অধ্যক্ষ একরামুল হক তার প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভিন্ন সময় নিয়োগে তার আর্থিক অপকর্মকে ঢাকতে সৃষ্ট ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা অপকৌশলের চেষ্টা করছেন। জহিরুল ইসলাম অত্র ইউনিয়নের একজন কৃতীসন্তান। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার গরিব অসহায়দের নানা ধরনের সহযোগিতা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার দান অনুদান অবিস্মরণীয় ও প্রসংশনীয়। তিনি চিতোষী সুলতানিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও তার পরিবারের মধ্যে হাজী নেছার আহম্মেদ, মাতা আলেয়া বেগম, স্ত্রী ফাতেমা ইসলাম ও ভাই নূর মোহাম্মদ সুমন স্থায়ী দাতা সদস্য হিসেবে নিয়োজিত আছেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেন, ইচ্ছেমতো মাসিক বেতন, কোচিং ফি, পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক অনিয়মের এবং ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অবৈধ অনিয়মের বিষয়ে জবাব চাওয়ার কারণে সৃষ্ট ঘটনায় অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জহিরুল ইসলাম জহিরকে জড়িয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা অধ্যক্ষের এ সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই ও তার পদত্যাগের দাবি করছি। সৃষ্ট ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়