প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৩
রায়পুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ : দু ছাত্রের চুল কাটতে গিয়ে মাথা কাটলেন শিক্ষক!

চুল ছোট থাকার পরেও আবার কেন চুল না কেটে ক্লাসে আসায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রিসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের গণিত শিক্ষিকা আয়শা বেগম ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রের চুল কাটতে গিয়ে মাথা কাটার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৫ সেপ্টেম্বর) শহরের গাজি কমপ্লেক্সে স্কুল চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
এ ঘটনায় শিক্ষক আয়শা বেগমের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেনের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক আয়শা বেগম চুল কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই দুই ছাত্র ক্লাসের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আসছে। ভয় দেখানোর জন্য তাদের চুল কাটার ভয় দেখানো হয়েছে মাত্র, ব্লেডের আঘাতে সামান্য চুল কাটতে গিয়ে মাথার সামনের কিছু অংশ কেটে যায়। বৃহস্পতিবার ওই দু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে আসার আগেই আমি লক্ষ্মীপুর কলেজে চলে আসছি।
লিখিত অভিযোগ সূত্র জানা যায়, রায়পুর শহরের গাজী কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় বেসরকারি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন হোসেন, রোল নং ৮ ও রিশাদ হোসেন, রোল নং ৯ প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করছিলো। স্কুল চলাকালে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষার শিক্ষক আয়শা বেগম হঠাৎ করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে সহপাঠীদের সামনে ইয়াসিন ও রিশাদের চুল ব্লেড দিয়ে কাটতে গিয়ে মাথার সামনের অংশ কেটে ফেলেন। এ সময় রক্ত বের হলে সাময়িক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
‘কী অপরাধে চুল কাটা হয়েছে’ জিজ্ঞাসা করলে ইয়াসিন ও রিশাদ বলেন, চুল ছোট করার পর ম্যামের পছন্দ হয়নি, তাই আবারও চুল কাটতে বাধ্য করছিলেন। চুল না কেটে স্কুলে আসার অপরাধে মাথার সামনের অংশই কেটে ফেলে।
এ ঘটনায় দু শিশু ছাত্র মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। সহপাঠীদের সামনে লজ্জিত হয়। পরে ইয়াসিন ও রিশাদ বিষয়টি তারা তাদের মা-বাবাকে জানালে তারা বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করে লিখিত অভিযোগ জানান।
শিশু ছাত্র ইয়াসিন ও রিশাদ হোসেন বলেন, শিক্ষক আয়শা বেগম বিনা অপরাধে তাদের চুল কেটে দেন, সাথে মাথার সামনে অংশও কেটে দেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তোরা মাথার চুল কেন কাটলি না, তাই তোদের চুল কেটে দেওয়া হলো।’
প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টির জন্য ছাত্রীদের একটু ভয় দেখানো হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষক ছাত্রীর চুল কাটতে পারেন না, একটু ভয় দেখানো হয়েছে। তারপরও ছাত্রীর অভিভাবক ও শিক্ষকের সঙ্গে সমঝোতা করিয়ে দেয়া হবে।’
রায়পুর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন বলেন, দু স্কুল ছাত্রের চুল কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। রোববার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ