বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১২

প্রথম শ্রেণীর ছেংগারচর পৌরসভায় ৯০ শতাংশ পদই শূন্য

কার্যালয়ে জলাবদ্ধতা, নাগরিকসেবা ব্যাহত

মাহবুব আলম লাভলু
প্রথম শ্রেণীর ছেংগারচর পৌরসভায় ৯০ শতাংশ পদই শূন্য

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নামেই শুধু প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। পৌরসভায় নেই কোনো জনপ্রতিনিধি। ৯০ শতাংশ পদ শূন্য। রাস্তা ও কার্যালয়ে জলাবদ্ধতায় বেহাল অবস্থা এ পৌরসভার। পৌরবাসী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত । পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৫ এপ্রিল এ পৌরসভাটি 'গ' শ্রেণিভুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ৭ আগস্ট 'গ' শ্রেণি থেকে 'খ' শ্রেণিতে উন্নীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি এ পৌরসভাকে 'ক' শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।

'ক' শ্রেণির পৌরসভার নিয়োগ-কাঠামো অনুযায়ী পৌরসভার স্থায়ী নিয়োগে ১৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। কিন্তু আছে মাত্র ১৫ জন। আছে ১জন নির্বাহী প্রকৌশলী, ১জন সহকারী প্রকৌশলী, ১জন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, ১জন কর নির্ধারকসহ অফিস সহায়ক, নলকূপ মিস্ত্রি, রোলার চালক, মিক্সার মেশিন অপারেটর ও গাড়ির ড্রাইভার সহ মাত্র ১৫ জন। বাকি ১৪০টি পদই শূন্য রয়েছে।সে হিসেবে বলা যায়, পৌরসভার ৯০ শতাংশ স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদই শূন্য।

জানা গেছে, ছেংগারচর পৌরসভার ৫০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি রাস্তাই কাঁচা। আর সামান্য পাকা রাস্তার বেশিরভাগই বেহাল। পৌর পাম্পের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যের সাপ্লাইয়ের পানির সুবিধা পেয়েছে ১০ হাজার ৬ শতাধিক পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩২৯ পরিবার। এই পৌরসভার ৫০ কিলোমিটার সড়কে বাতি আছে মাত্র ৫২টি, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। ময়লা ডাম্পিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই নেই। বৃষ্টি হলে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খোদ পৌরসভা কার্যালয়ের ভেতরে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একতলার ফ্লোরে থাকে পানি আর পানি।

সচেতন মহল বলছে, শূন্য পদে জনবল পদায়ন করলে নাগরিক সেবা কার্যক্রমে গতি ফিরবে। জনবল সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। অথচ নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করে নাগরিক সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। পৌরসভার কয়েকজন নাগরিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, শিক্ষাদীক্ষা ও ব্যবসায় ছেংগারচর পৌর এলাকাটি ভালো অবস্থানে থাকলেও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, অনেক কাঁচা রাস্তা, জরাজীর্ণ পাকা রাস্তা, অপরিচ্ছন্নতাহেতু নাগরিক সেবায় এই পৌরসভাটি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ও সড়ক বাতি নেই বললেই চলে। ময়লা-আবর্জনা ফেলারও কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় নেই। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে পানি সরার নালাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, 'ক' শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যে উন্নয়ন হওয়ার কথা সে তুলনায় অনেক কম হয়েছে। আর পৌরসভাটির নিজস্ব আয় কম। নিজস্ব আয় দিয়ে তেমন উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব নয়। সরকারি বরাদ্দ দিয়েই কেবল উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়। জনবল নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়