সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:০১

ফেসবুকের ভিডিও নিয়ে হাজীগঞ্জ থানার বিদায়ী ওসি সম্পর্কে যা জানা গেলো

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট।।
ফেসবুকের ভিডিও নিয়ে হাজীগঞ্জ থানার বিদায়ী ওসি সম্পর্কে যা জানা গেলো

গত ক'দিন ধরে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুমের একটি ভিডিও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে নানান প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভিডিওটি দেখে কেউ বলেছেন, ওসি নিজে ঘুষ নিচ্ছেন! কেউ বলছেন, সালিসে সমাধান করে দেয়ার পর বাদী-বিবাদীর মধ্যকার লেনদেনের ভিডিও এটি।

পরের কথাটি সত্য উল্লেখ করে আবার নেটিজেনরা মন্তব্য করেন, এতো লোকজনের সামনে একজন পিওনও ঘুষ নেয় না, ওসি তো দূরের কথা।

অনেকে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন সদ্য বিদায়ী হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক

এক প্রতিক্রিয়ায় বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমি সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলি, এটি আমার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ঘটনা। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত হবেন না।

ভিডিওতে বড়কুল এলাকার জামায়াত নেতা আবুল কাশেম এর হাতে যে টাকা দেখা গেছে, সেই আবুল কাশেম জানান, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সর্বতারা গ্রামের মিল্টন সাহা এবং কিল্টন সাহা গং হতে গত মার্চ মাসে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি বাবদ কচুয়া নিবাসী জামায়াত নেতা আব্দুল কুদ্দুস মিয়া সাথে বায়না চুক্তি করা হয়।

পরবর্তীতে মিল্টন সাহা গং বায়নাকৃত সম্পত্তি আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার কাছে বিক্রি করতে টালবাহানা করেন।

মিল্টন সাহা গং নির্দিষ্ট সময় পার করে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ওকালতিতে বায়নাকৃত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করেন। পরে কচুয়ার কুদ্দুস মিয়া থানায় অভিযোগ করলে থানা প্রশাসন মিল্টন সাহা গংকে থানায় ডেকে আনে

একই সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ৬নং ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইমাম হোসেনসহ আরো বেশ ক'জন বিএনপি নেতা উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিল্টন সাহা গং বায়নাকৃত সম্পত্তির টাকা ফেরত দেন।

অথচ এ ঘটনাকে চক্রান্তকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা জমি দখল করে ওসি সাহেবকে এই টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের অংশ।

এর মাধ্যমে আমার এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস। অথচ এই সালিসে থানায় তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

একই সাথে যেই যেই আইডি থেকে এই অপপ্রচার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়