প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:১২
গল্লাক আদর্শ কলেজে ৩১ বছর শিক্ষকতা শেষে অবসর
গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজ শোকাহত
সহকর্মী ও ছাত্রদের হৃদয়ে চিরকাল রয়ে যাবে প্রফেসর মো: মুন্জ্ঞুর রহমান
গল্লাক আদর্শ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মুন্জ্ঞুর রহমান আজ তাঁর ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবনের সমাপ্তি টেনেছেন। ২৫ অক্টোবর ১৯৯৪ সালে গল্লাক আদর্শ কলেজে যোগদান করে তিনি দীর্ঘ ৩১ বছর কলেজে শিক্ষাদানে নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাঁর অবসরের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, কারণ স্যারের মতো একজন আদর্শ শিক্ষক ও মানবিক ব্যক্তিত্বের বিদায় কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য এক বিশাল ক্ষতি।
|আরো খবর
অধ্যাপক মুন্জ্ঞুর রহমান ছিলেন এক অনুকরণীয় শিক্ষক, যিনি নিজের শিক্ষাদানের সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সততা, নৈতিকতা, এবং শিক্ষার প্রতি একনিষ্ঠতা ছাত্রদের মাঝে এক গভীর প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষকতা জীবন শুরু করার পর থেকেই তিনি ছাত্রদের মধ্যে জ্ঞান বিতরণে কোন কার্পণ্য করেননি এবং তার শিক্ষাদানে কখনো কোনো শিথিলতা ছিল না।
কলেজের শিক্ষক ও ছাত্ররা জানাচ্ছেন, স্যার কেবল একজন পাঠদাতা ছিলেন না, বরং তাঁর গুণাবলি ও মনোভাব ছাত্রদের জীবনে এক বিশেষ প্রেরণা যোগিয়েছে। তিনি সবসময় সহজাত আচরণ, শ্রদ্ধাবোধ এবং সহানুভূতির মাধ্যমে কলেজে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর ছাত্ররা তাকে শুধু শিক্ষক হিসেবেই নয়, বরং একজন বন্ধু এবং অভিভাবক হিসেবেও মূল্যায়ন করতেন।
অধ্যাপক মো: মুন্জ্ঞুর রহমানের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে গল্লাক আদর্শ কলেজে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অপরিসীম। তার সান্নিধ্যে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পাঠ্যবিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেনি, বরং জীবন পরিচালনায়ও গঠনমূলক শিক্ষা লাভ করেছে।
তাঁর সততা ও প্রফেশনালিজম কলেজের শিক্ষকদের কাছে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। আজ, যখন তিনি অবসর গ্রহণ করছেন, তখন পুরো গল্লাক আদর্শ কলেজ পরিবার তাঁর বিদায়কে এক গভীর শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করছে। কলেজের প্রিন্সিপাল, শিক্ষকবৃন্দ এবং ছাত্ররা একযোগে অধ্যাপক মুন্জ্ঞুর রহমান স্যারের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ সুখী জীবন কামনা করছেন। তাঁর অসীম অবদান কখনোই ভুলে যাবে না গল্লাক আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এভাবে, একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর ৩১ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন শুধুমাত্র কলেজের জন্য নয়, পুরো এলাকায় একটি শিক্ষা দৃষ্টিভঙ্গি, নৈতিকতা এবং সদাচরণের মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ