প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৬
কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা
শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের নামে পরিবারকে চাপ দিয়ে মোবাইল কিনে অনলাইন গেমে আশক্ত
করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসের কারণ দেখিয়ে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ বেড়েছে শিশু কিশোরদের। আর সেই সুযোগকে নেতিবাচক ভাবে কাজে লাগিয়ে অনলাইন গেম ও স্যোসাল মিডিয়ায় সময় পার করেছে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ। ফলে মোবাইল আসক্তি বেড়েছে বহু শিক্ষার্থীর। পূর্বে যারা বাবা-মায়ের মোবাইল অনুমতি সাপেক্ষে দিনে দু'একবার ধরতো তারাই এখন অনলাইন ক্লাসের নামে সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকছে। ঝুঁকছে টিকটক, লাইকির মত অ্যাপসগুলোর দিকে। করোনাকালীন শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে চাঁদপুর কন্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন 'কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা'র এ পর্বে থাকছে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রতিক্ষায় থাকা শিক্ষার্থী লাভলী আক্তারের সাথে।
|আরো খবর
চাঁদপুর কন্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বারবার পেছানোটা কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কি-না? লাভলী আক্তার : হ্যাঁ অবশ্যই। শিক্ষার্থীরা যখনই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে হাজির হয় ঠিক তখনই পরিক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা অাজ ক্লান্ত। এছাড়া ব্যাঘাত ঘটছে তাদের প্রস্তুতির।
চাঁদপুর কন্ঠ : করোনায় কেমন চলছে পড়ালেখা? লাভলী আক্তার : করোনায় পড়ালেখা হচ্ছে না বললেই চলে। পরীক্ষার নিশ্চয়তা নাই বলেই অামার মতো শিক্ষার্থীরা বিরক্ত প্রায়।
চাঁদপুর কন্ঠ: মানসিক অবস্থা কেমন? লাভলী আক্তার: মোটেও ভালো না। কোনঠাসা হয়ে এতোটা সময় কাটালে মানসিক অবস্থা ভালো না থাকারই কথা৷
চাঁদপুর কন্ঠ : আপনি কি মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সময়ের দাবী? লাভলী আক্তার : জ্বী, প্রায় সব শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে আছে৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এটাই মোক্ষম সময়।
চাঁদপুর কন্ঠ : প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আপনার প্রতিক্রিয়া কী? লাভলী আক্তার : স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা চাই। যদিও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ১২ সেপ্টেম্বর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। আদৌ তা বাস্তবায়ন হবে কি-না তা সময়ই বলে দিবে।
চাঁদপুর কন্ঠ : অনলাইন পাঠদান কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে করেন? লাভলী আক্তার : শতভাগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিংহভাগ শিক্ষার্থীদের যেখানে অনলাইন ক্লাসের সুযোগ নাই সেখানে অনলাইন পাঠদান ফলপ্রসূ হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের নাম করে পরিবারকে চাপ দিয়ে মোবাইল কিনে অনলাইন গেমে অাসক্ত হওয়ার আসক্তির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
চাঁদপুর কন্ঠ : স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আপনার মতামত কী? লাভলী আক্তার : স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কলেজ খোলার জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার চাইলেই শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করে স্কুল কলেজ খুলতে পারে। স্কুল কলেজের ক্লাস রুটিন পরিবর্তন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সহ পড়াশোনার মান উন্নয়ন সম্ভব। ফলে কমবে শিক্ষার্থীদের ডিপ্রেশন এবং সাফল্যের শিহরণ তুলে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো আমরা৷ তাই ১২ সেপ্টেম্বর যেন সত্যি সত্যই খুলে দেয়া হয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।